বাংলা হান্ট ডেস্ক: মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনীতে (Ujjain) ধর্ষিতা (Rape) এক ১২ বছরের কিশোরীর রাস্তায় ঘুরে ঘুরে সাহায্য প্রার্থনার ছবি ভাইরাল হয়েছিল (Viral) নেট দুনিয়ায়। ওই ধর্ষিতা নাবালিকাকে এবার দত্তক নেওয়ার কথা জানালেন এক পুলিশ অফিসার।
মহাকাল থানার ইনচার্জ অজয় ভার্মা (Ajay Verma) ওই নির্যাতিতা নাবালিকার চিকিৎসা থেকে শুরু করে লেখাপড়া এবং বিয়ে, সমস্ত ধরনের দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন। ওই মামলারই তদন্তকারী আধিকারিক এবং থানার ইনচার্জ অজয় ভার্মা বলেন, ‘আমি বলেছি মেয়েটির চিকিৎসা পড়ালেখা এবং তার বিয়ের ব্যবস্থা করব। এই উদ্যোগে আরও অনেকে এগিয়ে এসেছেন। হাসপাতাল থেকে ছাড়ার পর আমি আরও ভালো চিকিৎসার জন্য অন্য হাসপাতালে তাকে ভর্তি করব। আমি সব সময় চেষ্টা করি, সমাজ আমাকে যেভাবে তৈরি করেছে সেটা ফিরিয়ে দিতে।’
উল্লেখ্য, মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) উজ্জয়িনী থেকে মাত্র ১৫ কিলোমিটার দূরে বদনগর রোডে সম্প্রতি একটি চাঞ্চল্যকর ঘটে। রাস্তায় লাগানো সিসিটিভি (CCTV) ক্যামেরায় দেখা যায়, ১২ বছরের এক কিশোরী নির্যাতিত হওয়ার পর কোনওমতে সেখান থেকে এসে রাস্তার ধারের বাড়িতে সাহায্যের জন্য গিয়েছিল। গায়ের সামান্য পোশাকে কোনওভাবে ঢেকে রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে সাহায্য প্রার্থনা করছিল সে। কিন্তু সকলেই ওই নাবালিকার মুখের ওপর দরজা বন্ধ করে দেয়।
এরপর ন্যূনতম সাহায্য না পেয়ে কোনওমতে একটি আশ্রমে গিয়ে পৌঁছয় ওই নাবালিকা। সেখানকার পুরোহিত (Priest) তাকে দেখেই বুঝতে পারেন ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটেছে নাবালিকার সঙ্গে। এরপরই তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ওই নাবালিকাকে। আঘাত গুরুতর হওয়ায় ইন্দোরের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। সেখানেই শারীরিক পরীক্ষায় নিশ্চিত করা গিয়েছে যে ওই কিশোরী ধর্ষণের শিকার।
এই ঘটনা ইতিমধ্যেই সিট (SIT) গঠন করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই একজন অটোচালককে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্তের নাম রাকেশ মালব্য। যার বিরুদ্ধে প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ রয়েছে। অভিযুক্ত স্বীকার করেছে, ধর্ষণের সময় সে সেখানে উপস্থিত ছিল।