বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একতরফাভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে! ক্ষমতার অপব্যবহার করে চুক্তি বাতিল। এবার মামলা হতেই এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। মিঠুলাল ঘোষ নামে নদিয়ার পঞ্চায়েত সমিতির একজন ঠিকাদারের দায়ের করা মামলায় কড়া নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।
বিরাট নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)!
মিঠুলাল ঘোষের আইনজীবী সন্দীপ সূত্রধর এবং সুদীপ্ত দাশগুপ্ত উচ্চ আদালতে বলেন, ধুবুলিয়ার বিডিওর উপস্থিতিতে চলতি বছরের জুলাই মাসে তাঁদের মক্কেল ও পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে একটি চুক্তি হয়েছিল। আগামী ৩ বছরের জন্য ওই ব্লকের বিদ্যালয়গুলিতে মিড ডে মিলের (Mid Day Meal) চাল এবং অন্যান্য সামগ্রী সরবরাহ করার চুক্তি হয় দু’পক্ষের মধ্যে।
সেই চুক্তি অনুসারে, সরকারি গুদাম থেকে চাল সংগ্রহ করে নিজের গুদামে তা মজুত করবেন মিঠুলাল। এরপর সেখান থেকে নানান বিদ্যালয়ে তা সরবরাহ করা হবে। তবে প্রথম মাসের পরেই বাঁধে বিপত্তি! পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা, তথ্য সংস্কৃতি ও ক্রীড়া বিভাগের স্থায়ী কর্মাধ্যক্ষ প্রথমে ৩ মাসের জন্য ও পরে সম্পূর্ণ চুক্তি বাতিল করে দেন। এবার হাইকোর্ট (Calcutta High Court) অবধি এই জল গড়াতেই বড় নির্দেশ দিলেন জাস্টিস সিনহা। উচ্চ আদালতের নির্দেশ, সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের বক্তব্য শোনার পর পঞ্চায়েত সমিতিতে আবার সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
আরও পড়ুনঃ ভোটপ্রচারে ‘বেফাঁস’ শুভেন্দু! উপনির্বাচনের আগেই বিরাট পদক্ষেপ তৃণমূলের!
মিঠুলালবাবুর আইনজীবীর অভিযোগ, তাঁর মক্কেলের পরিবর্তে আগের বছর যে সংস্থা বরাত পেয়েছিল, তার সঙ্গে চুক্তি করে পঞ্চায়েত সমিতি। অথচ সেই সংস্থার উপযুক্ত পরিকাঠামো না থাকার দরুন চুক্তি রিনিউ না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল এবং মিঠুলালবাবুকে বরাত দেওয়া হয়েছিল।
তবে প্রথম মাস মিড ডে মিলের সামগ্রী সরবরাহ করার পর কোনও রকম আলোচনা না করে, নোটিশ না দিয়ে চুক্তি বাতিল করে দেয় পঞ্চায়েত সমিতি। ওই ঠিকাদারের আইনজীবীর এমনই অভিযোগ। পাল্টা রাজ্যের আইনজীবী হাইকোর্টে (Calcutta High Court) জানায়, মিঠুলালবাবুর সঙ্গে সরকারি চুক্তি হয়নি ও তিনি চুক্তির শর্তাবলী এবং নিয়ম মেনে কাজ করছিলেন না। সেই কারণে পঞ্চায়েত সমিতির তরফ থেকে চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনার পর জাস্টিস সিনহার নির্দেশ, সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের বক্তব্য শুনে ফের সিদ্ধান্ত নিতে হবে সমিতিকে।