উপস্থিতি কম থাকায় পরীক্ষায় বসতে দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয়, কারচুপির অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে ৬৫ জন

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে তুলকালাম রাজ্যে। চলছে তদন্ত, আদালতে চলছে মামলা। এই অবহে এবার বাবাসাহেব আম্বেদকার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে উপস্থিতিতে কারচুপির অভিযোগ এনে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা। উপস্থিতিতে কারচুপির অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৬৫ জন পরীক্ষার্থীর।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে কারচুপির অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) পড়ুয়ারা

এদিন বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে মামলা উঠলে আদালতে মামলাকারীদের আইনজীবী জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে উপস্থিতির হার পর্যাপ্ত না থাকার কারণে প্রথম সেমিস্টারের পরীক্ষায় বসার অনুমোদন দেওয়া হয়নি তাদের। তবে এখানেই শেষ নয়, অনুপস্থিতির জন্য ওই সকল পড়ুয়াদের জরিমানাও করা হয়েছিল।

   

পড়ুয়াদের (Students) আইনজীবী জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী পরীক্ষায় বসার অনুমোদন পেতে অন্তত ১০০ দিন উপস্থিত থাকা বাধ্যতামূলক। তবে ওই পরীক্ষার্থীরা ৭৭ দিন উপস্থিত থাকায় তাদের থেকে ২৩ দিনের অনুপস্থিতি বাবদ জরিমানা নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

তবে জরিমানা নেওয়ার পরও তাদের প্রথম সেমিস্টারের পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয়নি। মামলাকারীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এমন অনেক পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষায় বসতে দিয়েছে যারা উপস্থিতির নিয়ম ঠিকমতো মানেনি। এরপরই এই মামলায় জাস্টিস অমৃতা সিনহা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষর কাছে পরীক্ষার্থীদের উপস্থিতির হারের রিপোর্ট চেয়েছেন।

Calcutta High Court

আরও পড়ুন: আগস্ট মাসে এত্ত ছুটি! সামনেই টানা বন্ধ থাকছে স্কুল-কলেজ, অফিস, দেখুন হলিডে লিস্ট

পাশাপাশি ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে সেশন শুরু হওয়ার পর থেকে ওই বিশ্ববিদ্যালয় কতগুলি কলেজকে অনুমোদন দিয়েছিল সেই হলনামাও তলব করেছেন বিচারপতি। জমা দিয়ে বলা হয়েছে ওই সেশন চলাকালীন মধ্যবর্তী সময়ে যারা ভর্তি হয়েছেন সেই সংক্রান্ত রিপোর্টও। একই সাথে সেশন চলাকালীন যেসমস্ত কলেজগুলিকে বিশ্ববিদ্যালয় স্বীকৃতি দিয়েছিল সেখান থেকে সেশনের মাঝে ভর্তি হওয়া কতজন পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষায় বসার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে তাও রিপোর্ট আকারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর