বাংলাহান্ট ডেস্ক : সোমবার রাত থেকেই অগ্নিগর্ভ রামপুরহাট। এখনও অবধি আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয়েছে ১০ জন গ্রাম বাসীর। এবার এই গণ হত্যাকাণ্ডে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা গ্রহণ করল কলকাতা হাইকোর্ট। আজই সেই মামলার শুনানি হবে বলেই জানা যাচ্ছে। এখনও অবধি উপপ্রধান খুন এবং গণহত্যা কাণ্ড মিলিয়ে মোট গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২৩ জনকে।
সোমবার রাতে বোমা মেরে খুন করা হয় রামপুরহাটের বগটুইয়ের পঞ্চায়েত উপপ্রধান ভাদু শেখকে। তারপর থেকে ‘বদলা’ নিতে তাণ্ডব শুরু হয় এলাকায়। সোমবার রাতভোর চলে বোমাবাজি। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় একের পর এক বাড়িতে। আগুনে পুড়ে মারা যান ২ শিশু সহ ১০ জন মানুষ। জীবন্ত অবস্থাতেই জতুগৃহে ঝলসে মৃত্যু হয় তাঁদের। এরই মধ্যে এদিন ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে ফরেন্সিক দল। পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখে কারণ খোঁজার চেষ্টা চালাচ্ছেন ওই দলের সদস্যরা।
পুরো বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করেছে কেন্দ্র সরকারও। ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। আগামীকালই রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দলও। এদিন মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া ভাষায় চিঠি দিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের তরফে চিঠি দেওয়া হয়েছে বীরভূমের এসপি নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠীকেও।
অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রীর পদত্যগের দাবিতে সরব হয়েছে বিজেপি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘আমরা মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিসমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করছি। এটা রাজ্য সরকার চলছে না সার্কাস চলছে? এতবড় একটা অঘটন ঘটে গেল! কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ১০ জন পশ্চিমবঙ্গ বাসীর জীবন চলে গেল, আর পুলিসের কাছে কোনও ইনপুট নেই! পুলিস করছেটা কী?’ উল্লেখ্য, আগামীকালই বগটুই যাচ্ছে বিজেপির প্রতিনিধি দল। যেতে পারেন কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীও। এদিন বগটুই ঢোকার পথে বাধার মুখে পড়তে হওয়ার অভিযোগ এনেছে সিপিএমের প্রতিনিধি দলও। জানা গিয়েছে যে, বগটুই গ্রামে আগুনে পুড়ে মৃত ২ শিশু সহ ১০ জনার নাম প্রকাশ্যে এসেছে।