বাংলাহান্ট ডেস্ক : বসন্তকালেই দাপট দেখাতে শুরু করেছে গরম। এপ্রিল-মে মাসে গরমের তীব্রতা আরো যে বাড়বে তা বলাই বাহুল্য। এই সময়টাতে তাই অনেকেই যান বাইরে ঘুরতে যেতে। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গে পর্যটকদের আনাগোনা বাড়তে থাকে এই সময়। আপনিও যদি আগামী মাসে পাহাড় ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করে থাকেন তাহলে আজকের এই প্রতিবেদনটি মন দিয়ে পড়ুন।
পাহাড় ভ্রমণ মানেই আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে দার্জিলিং, কালিম্পং কিংবা কার্শিয়াং-এর ছবি। কম খরচে পাহাড় দর্শন করতে অধিকাংশ বাঙালি পাড়ি দেন এই জায়গাগুলোতে। এই জায়গাগুলোতে রয়েছে বেশ কিছু অফবিট ডেস্টিনেশন। যদি পাঁচ-ছয় হাজার টাকা আপনার বাজেটে থাকে, তাহলে বেশকিছু অফবিট ডেস্টিনেশনে ঘুরে নিতে পারেন।
আরোও পড়ুন : রোজার ১ মাস সস্তায় মিলবে রেশন! ‘বিশেষ প্যাকেজ’ মমতা সরকারের, কত টাকায় কী পাবেন?
ছোট্ট চা বাগান পুবুং অবস্থিত দার্জিলিংয়ের পাহাড়ের কোলে। এই পর্যটন কেন্দ্রটি মূলত গড়ে উঠেছে টি এস্টেটকে কেন্দ্র করে। পুবুং নিউ জলপাইগুড়ি থেকে মাত্র ৯০ কিলোমিটার দূরে। পুবুং গ্রামটির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আপনাকে মোহিত করবে। একদিকে সবুজে ঘেরা চা বাগান, অন্যদিকে অর্কিডের সারি, সব মিলিয়ে এই ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম অবশ্যই দর্শনীয়।
আরোও পড়ুন : ‘ওর বউ…’,কেন লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডস খুলেছিলেন অভিষেক? এবার সব বলে দিলেন মমতা
সেনচাল অভয়ারণ্যের মধ্যে অবস্থিত চটকপুর দার্জিলিং যাওয়ার পথেই পড়ে। চটকপুর থেকে আপনারা ঘুরে দেখতে পারবেন সেনচাল অভয়ারণ্য। এছাড়াও এখান থেকে দেখা মেলে কাঞ্চনজঙ্ঘার।লাভা থেকে মাত্র ১৫ কিলোমিটার দূরের লুংচু প্রকৃতিপ্রেমীদের কাছে যেন এক স্বর্গ। ফটোগ্রাফি করার জন্য এক্কেবারে আদর্শ।
ন্যাশানাল পার্কের মধ্যে অবস্থিত এই জায়গায় এপ্রিল মাসে আপনি দেখতে পাবেন রডোড্রেনডনের বাহার। হিমালয়ান পাখি আর কাঞ্চনজঙ্ঘা, এই দুয়েরই দেখা মেলে এখান থেকে। রামধূরা একটা সময় নির্জন একটি জায়গা ছিল। কালিম্পং থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই পর্যটন স্থলটিতে বর্তমানে পর্যটকদের ভিড় বেড়েছে।
তবুও ছবির মত এই জায়গা অবশ্যই একবার আপনার দেখা উচিত। মুনথুম গ্রাম কালিম্পং-এর খুব কাছে। এখান থেকে গোটা কালিম্পং শহর দেখা যায়। এখানকার ভিউ পয়েন্ট থেকে পাহাড়ের দৃশ্য মনমুগ্ধকর। ভারত-ভুটান সীমান্তের শেষ জনপদ প্যারেন ঘুরতে যেতে পারেন সময় থাকলে। এখানে পশ্চিমবঙ্গ বন দফতরের একটি কটেজ রয়েছে।