বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কুখ্যাত অপরাধী বিকাশ দুবের (Vikas Dubey সঙ্গী অরবিন্দ ত্রিবেদীকে (Arvind Trivedi) ২১ জুলাই পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখা হয়েছে। অরবিন্দ ত্রিবেদীর আইনজীবী আদালতে আজব দাবি করেছেন। অরবিন্দ দাবি করেছে যে, তাঁকে রাস্তা দিয়ে না নিয়ে গিয়ে বিমানে করে কানপুরে নিয়ে যাওয়া হোক। অরবিন্দর আশঙ্কা রাস্তা দিয়ে নিয়ে গেলে তাঁরও এনকাউন্টার হয়ে যাবে। যদিও আদালত অরবিন্দর দাবি শোনার পর এখনো কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি। এবার উত্তর প্রদেশ পুলিশ গেলেই শুনানি হবে।
আপনাদের জানিয়ে দিই, শনিবার মহারাষ্ট্র পুলিশের জঙ্গি দমন শাখা থানে থেকে বিকাশ দুবের সঙ্গী অরবিন্দ ত্রিবেদীকে গ্রেফতার করেছে। অরবিন্দ ওরফে গুদ্দন রামবিলাস ত্রিবেদী কানপুর জেলার কুখ্যাত অপরাধী বিকাসের বাড়িতে পুলিশের তল্লাশির সময় উপস্থিত ছিল বলে জানা গেছে। এবং পুলিশ কর্মীদের হত্যাকাণ্ডে অরবিন্দ জড়িত বলে জানা গেছে। আধিকারিকরা জানান, অরবিন্দ ২০০১ সালে উত্তর প্রদেশের নেতা সন্তোষ মিশ্রা হত্যাকাণ্ডেও জড়িত ছিল।
মুম্বাই এটিএস পুলিশের সুপারিটেন্ডেন্ট বিক্রম দেশ্মানে বলেন, ত্রিবেদী আর তাঁর গাড়ির চালক সুশীলকে থানে শহরের কোলশেট এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়ছে। ATS আধিকারিক জানান, ত্রিবেদীর গ্রেফতারির ফলে কানপুরে দুবে আর তাঁর গ্যাংয়ের ব্যাপারে অনেক তথ্য পাওয়া যেতে পারে। উনি জানান, জিজ্ঞাসাবাদের সময় ত্রিবেদী দাবি করেছে যে, সে পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য আর উত্তর প্রদেশে একটি রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত। সে জানিয়েছে যে, কানপুরের বিকরু গ্রামে পুলিশের উপর হামলার পর দুবে এবং ত্রিবেদীর সাথে বাকিরাও সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
দেশ্মানে জানিয়েছেন, ATS এর জুহু ইউনিট জানতে পারে যে ত্রিবেদী মুম্বাইয়ে এসে লুকিয়ে আছে। উনি জানান, মুম্বাই পুলিশের প্রাক্তন এনকাউন্টার স্পেশ্যালিস্ট দয়া নায়েকের নেতৃত্বে একটি টিম কোলশেট থেকে ত্রিবেদী আর তাঁর গাড়ির চালককে গ্রেফতার করে। এসপি জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ত্রিবেদী স্বীকার করেছে যে, উত্তর প্রদেশের নেতা সন্তোষ মিশ্রার হত্যার আর অন্যান্য অপরাধে সেস যুক্ত ছিল। এসপি জানান, ATS উত্তর প্রদেশ পুলিশের STF কে ত্রিবেদীর গ্রেফতারি নিয়ে তথ্য জানিয়েছে।