বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত শনিবার থেকে ‘সন্ন্যাসী বিতর্কে’ উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। সেদিন আরামবাগের সভা থেকে ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ এবং রামকৃষ্ণ মিশনের সন্ন্যাসীদের একাংশকে নিশানা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সরাসরি নাম নিয়েই মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের কার্তিক মহারাজকে (Kartik Maharaj) নিয়ে সরব হন তিনি। এবার তার প্রতিবাদস্বরূপ কলকাতার রাস্তায় নামছেন সাধু সন্ন্যাসীরা।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (Vishva Hindu Parishad) সূত্রে জানা যাচ্ছে, আগামী শুক্রবার তথা ২৪ মে উত্তর কলকাতার গিরিশ অ্যাভিনিউ থেকে শুরু করে স্বামী বিবেকানন্দের জন্মভিটে অবধি পায়ে হেঁটে মিছিল করবেন সাধু সন্ন্যাসীরা। সেই মিছিলের নাম রাখা হয়েছে ‘সন্ত স্বাভিমান যাত্রা’। বিকেল ৪টে থেকে এই যাত্রা শুরু হবে বলে খবর।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদ সূত্রে খবর, ‘সন্ন্যাসী বিতর্কে’র প্রেক্ষিতে পশ্চিমবঙ্গে কাজ করছে এমন অধিকাংশ ধর্মীয় সংগঠনকে নিয়ে বৈঠকে বসা হয়েছিল। সেখানে ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের পাশাপাশি রামকৃষ্ণ মিশন সহ অন্যান্য ধর্মীয় সংগঠনগুলির প্রতিনিধি ছিল। সোমবার রাতে আয়োজিত এই জরুরি বৈঠকের পরেই রাজ্যে ষষ্ট দফার ভোটের ঠিক আগের দিন কলকাতার রাজপথে ‘সন্ত স্বাভিমান যাত্রা’র কথা স্থির করা হয়।
আরও পড়ুনঃ ভয়ঙ্কর! জলপাইগুড়িতে জমি মাফিয়াদের তাণ্ডব! রামকৃষ্ণ মিশন থেকে ৭ জনকে তুলে নিয়ে গেল দুষ্কৃতীরা
জানা যাচ্ছে, শুক্রবার দুপুর ৩টে নাগাদ বাগবাজার নিবেদিতা পার্কে সন্ত সমাগত হবে। বাগবাজার মায়ের বাড়ি থেকে শুরু হবে যাত্রা। এরপর সাধু-সন্তদের সেই মিছিল গিরিশ অ্যাভিনিউ, বাগবাজার স্ট্রিট, শ্যামবাজার পাঁচ মাথা, বিধান সরণী হয়ে শেষ হবে স্বামীজির জন্ম ভিটে-তে।
মিছিলের এই গোটা পথ সাধু-সন্ন্যাসীরা খালি পায়ে হাঁটবেন বলে খবর। তবে ‘সন্ত স্বাভিমান যাত্রা’য় শুধুমাত্র সাধু সন্ন্যাসীরাই নন, সংগঠনের পরিভাষায় সকল সাধারণ মানুষকে দর্শন, আরতি এবং সম্বর্ধনা জানানোর জন্য অনুরোধ জানিয়েছে।
এই মিছিলের সঙ্গে রাজনৈতিক এবং ভোটের কোনও যোগ নেই তা পরিষ্কার করে দিয়েছেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের বাংলার দায়িত্বপ্রাপ্ত সর্বভারতীয় নেতা শচীন্দ্রনাথ সিংহ। তিনি বলেন, ‘এর সঙ্গে রাজনীতি কিংবা ভোটের কোনও যোগ নেই। তবে ভোটে সংখ্যালঘু ভোট পেতে জেভাবে হিন্দু সাধু-সন্তদের হুমকি দেওয়া হয়েছে, তাতে বাংলার হিন্দু সমাজের ভবিষ্যৎ নিয়ে পরিষদ চিন্তিত। সকল প্রতিষ্ঠান ও মঠের সন্ন্যাসীরা মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য ও এরপরেই জলপাইগুড়ির মিশনে হামলার ঘটনার নিন্দা করেছেন। এসব কিছুই পরেই এই যাত্রার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।