বাংলা হান্ট ডেস্ক: আদানির সঙ্গে সম্পর্কে চিড়! তাজপুর বন্দর হাতছাড়া আদানি কর্তৃপক্ষের। তাজপুর বন্দর নির্মাণে নতুন করে গ্লোবাল টেন্ডার ডাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চে তা ঘোষণাও করেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
কিন্তু উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এই বিষয়ে আদানিরা কিছুই জানে না। সংস্থার কর্তারা বলছেন, সংবাদমাধ্যম দেখে আমরা জানতে পেরেছি, সরকার তাজপুর বন্দরের (Tajpur Port) জন্য নতুন করে টেন্ডার ডাকছে। কিন্তু সরকারিভাবে রাজ্য সরকারের তরফে আমাদের এখনও কিছু জানানোই হয়নি।
তাজপুরে গভীর সমুদ্র বন্দর তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে নবান্ন । সেই বন্দর তৈরিতে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন শিল্পপতি গৌতম আদানি (Gautam Adani)। গত বছর তাঁর সঙ্গে নবান্নে বেশ কয়েকবার বৈঠকও করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য মন্ত্রিসভার সবুজ সংকেত মেলার পর আদানি গোষ্ঠীর হাতেই বন্দর নির্মাণের দায়িত্ব তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সেই মতো আদানি গোষ্ঠীও রাজ্য সরকারকে তাঁদের বন্দরে কাজ করার ইচ্ছাপত্র জমা দেয়। সব মিলিয়ে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে বলে জানায় আদানির সংস্থা।
কিন্তু হঠাৎই এবছর শিল্প সম্মেলনের মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, ওই বন্দরের জন্য নতুন টেন্ডার ডাকা হবে। এই নিয়ে আদানি সংস্থার এক আধিকারিক বলেন, ‘আমরা সংবাদমাধ্যমে সবটাই দেখছি। কিন্তু এ নিয়ে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট করিনি কারণ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে সরকারিভাবে আমাদের এখনও কিছু জানানো হয়নি।’ উল্লেখ্য, যদিও এখনও পর্যন্ত তাজপুর বন্দরে তাঁদের কাজ করার অনুমতিপত্রও দেওয়া হয়নি নবান্নের তরফে। ফলে কাজও শুরু করা যায়নি। চুক্তি বাতিল হলে হয়তো সেই কাজ হবে না। সেক্ষেত্রে কি আদানিরা নতুন করে গ্লোবাল টেন্ডার তুলতে পারবে? তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।