বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার নবম বা দশম শ্রেণীতে অন্য স্কুলে ভর্তি হবার ক্ষেত্রে নতুন নির্দেশিকা জারি করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ (WBBSE)। কারণ এই বদলে এর আগে তেমন কোন বাধা ছিল না। তবে সম্প্রতি স্কুলগুলিতে এই নতুন নির্দেশিকা পাঠিয়ে পর্ষদ জানিয়েছে, মাধ্যমিক স্তরে অন্য স্কুল থেকে আসা সর্বোচ্চ ১০ জন পড়ুয়াকে ভর্তি নেওয়া যাবে। পাশাপাশি এর জন্য নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এই বদলির জন্য তথ্য জানাতে হবে পর্ষদকে।
নবম-দশমে অন্য স্কুলে ভর্তি কঠিন! মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নতুন নির্দেশিকা জারি (WBBSE)
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের (WBBSE) তরফ থেকে এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানানো হয়েছে, যে নতুন এই নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে কারণ এটি একটি দীর্ঘদিনের সমস্যা ছিল। বহু ক্ষেত্রেই দেখা যায়, বহু বড় নামী স্কুলের পড়ুয়ারা নবম শ্রেণীতে প্রত্যাশিত ফল করতে না পারলে সেই স্কুলে তাদের পাশ করানো হয়না। কারণ, মাধ্যমিকে ভালো ফল বজায় রাখতে এই স্কুল গুলি করা নীতি অনুসরণ করে। ফোনে অনেক অভিভাবকই সন্তানদের একটি বছর নষ্ট করতে চান না বলে অথবা অপেক্ষাকৃত কম পরিচিত স্কুল গুলিতে ভর্তি করান পাশাপাশি সেখান থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসানোর চেষ্টা করেন। আর সেখান থেকেই সমস্যার সৃষ্টি হয়।

আরও পড়ুন: পরীক্ষার সকালে স্বস্তি! PSC পরীক্ষার্থীদের জন্য মেট্রোর বিশেষ সময়সূচির ঘোষণা
তবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের ব্যাখা অনুযায়ী, অনেক সময় দেখা যায় নবম শ্রেণীর রেজিস্ট্রেশন হয়ে যাওয়ার পর কোন পড়ুয়ার বদলি নিচ্ছে। কিন্তু সেই তথ্য পরে স্কুলটি ঠিক সময়ে পর্ষদে জানাচ্ছে না। যার ফলে ওই পড়ুয়ার অ্যাডমিট কার্ড পৌঁছে যাচ্ছে আগের স্কুলে। এই সকল সমস্যার সমাধানের জন্যই এই নতুন নিয়ম করা হয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফ থেকে। পাশাপাশি যে সকল পড়ুয়া তিন বছরের বেশি ব্যবধানে নতুন করে পড়াশোনা করতে চাইছেন তাদের জন্য নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে।
সেই নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, কেন তিন বছর বা তার বেশিদিন পড়াশোনা করেনি সেই বিষয়ে লিখিতভাবে পর্ষদকে জানাতে হবে। পাশাপাশি কোন শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন তার নথি ও পেশ করতে হবে।
তবে এই বিষয়ে শিক্ষকদের একাংশে খানিক সমস্যার আশঙ্কা করছেন। তাদের মতে, যে সকল স্কুলে পড়ুয়ার অভাব অথচ মেধার সঙ্গে আপোষ করে হলেও স্কুল অন্য স্কুলে কিছু পড়ুয়া ভর্তি নিতে পারত। তবে সেই সংখ্যা কমে গেলে মুশকিলে পড়বে স্কুলগুলি।
কারণ অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত খুব কম পড়ুয়া রয়েছে এমন স্কুলের সংখ্যা কম নয়। তাই তারা অনেক সময় মাধ্যমিকে পড়ুয়ার সংখ্যা বাড়িয়ে দেখানোর সুযোগ পায়। আবার পড়ুয়াদের তরফে কিছু অসুবিধা হতে পারে বলে মনে করছেন অধিকাংশের শিক্ষকেরা। তবে এই বিষয়ে কলকাতার পার্ক ইনস্টিটিউশন এর প্রধান শিক্ষক বাসক কুমার মুখোপাধ্যায় বলেন, এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা উচিত সরকার ও পর্ষদকে (WBBSE)। কারণ তার আশঙ্কা, নতুন এই নিয়মে পড়ুয়াদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হতে পারে।












