প্রিলিতে ফেল করে WBCS-এ প্রথম হয়ে BDO! আন্দোলনে নামল দুর্নীতি মুক্ত মঞ্চ

বাংলাহান্ট ডেস্ক: বিগত দু’বছরের বেশি সময় ধরে এরাজ্যে নিয়োগের দেখা নেই। কিছু কিছু নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়ে পরীক্ষা গ্রহণ করা হলেও নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। পাশাপাশি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ। এই ধরনের একগুচ্ছ নিয়োগ সংক্রান্ত দাবি নিয়ে ফের সরব হল পিএসসি দুর্নীতি মুক্ত মঞ্চ।

অভিযোগ, ২০১৭ সালে ডব্লবিসিএস একজিকিউটিভ পরীক্ষায় প্রথম হন প্রশান্ত বর্মন। আদালতে হলফনামা দিয়ে পিএসসির তরফে জানানো হয়েছে তিনি প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় মাত্র ১৩ পেয়েছিলেন। যেখানে কাট অফ ১২২। তিনি এখন কালচিনি ব্লকের বিডিও। বিক্ষোভকারীদের প্রশ্ন প্রিলি পরীক্ষায় ফেল করেও কিভাবে তিনি ডব্লবিসিএস একজিকিউটিভ অফিসার হয়ে গেলেন?

বিক্ষোভকারীদের দাবি, দুই বছর ধরে সরকারী চাকরির কোনও বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়নি। দ্রুত বিজ্ঞপ্তি জারি করুক পিএসসি। আইসিডিএস, ক্লার্কশিপ সহ একাধিক পরীক্ষার রেজাল্ট দ্রুত প্রকাশ করতে হবে। একইসঙ্গে ফুড সাব ইন্সপেক্টর পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে যে দুর্নীতি হয়েছে তাতে স্বচ্ছতা আনার দাবি জানানো হয়েছে।

এই বিষয়ে বাম যুব নেতা ইন্দ্রজিৎ ঘোষ বলেন, “২০১৭ সালে ডব্লিউবিসিএস এগজিকিউটিভ পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয় ২০১৮ সালে৷ ফল প্রকাশের পরেই জানা যায় বাংলা ও ইংরেজি পরীক্ষায় সাদা খাতা জমা দিয়ে ১৬২ এবং ১৬৮ নম্বর পেয়েছেন ওই প্রার্থী৷ এর পর জল বহুদূর গড়ায়৷ আদালতে মামলাও হয়৷”

আরটিআই রিপোর্টে জানা যায়, ওই প্রার্থী প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় মাত্র ১৩ পেয়েছেন৷ সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর থেকে এটাও জানা যায় যে, পিএসসি’র দুই আধিকারিককে সরিয়েও দেওয়া হয়েছে৷ এই ঘটনায় টালিগঞ্জ থানায় এফআইআর হয়৷ একাধিক মামলা হয়েছে৷ তিনি আরও বলেন, “সেই বিডিও-কে সরকারি নোটিশ দিয়ে প্রমোশন আর পোস্টিং আটকে রাখা হয়েছে৷ অথচ ওই দুর্নীতিগ্রস্ত বিডিও-কে এখনও সরানো হচ্ছে না।”

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর