বাংলাহান্ট ডেস্ক : পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা যারা চাষবাসের সাথে যুক্ত, তাদের জন্য দারুন সুখবর দিল রাজ্য সরকার। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে চাষীদের দেওয়া হবে ১০ হাজার টাকা। সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে পুজোর আগে হাসি ফুটেছে রাজ্যের কৃষকদের মুখে। তবে এই টাকা পেতে গেলে রয়েছে শর্ত। কৃষকদের জন্য সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে একটি বড় ঘোষণা করা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান কৃষকদের জন্য আর্থিক সহায়তা দ্বিগুণ করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী জানান কৃষক বন্ধু প্রকল্পের আওতায় রাজ্যের বহু কৃষককে দেওয়া হবে আর্থিক সাহায্য। ৫০০০ টাকা করে যে সকল কৃষকরা আর্থিক সাহায্য পেতেন ,তাদের এবার থেকে ১০ হাজার টাকার আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে। অন্যদিকে রাজ্যের ক্ষুদ্র চাষীদের বার্ষিক চার হাজার টাকা আর্থিক সাহায্য করা হবে সরকারের পক্ষ থেকে।
আরোও পড়ুন : এগুলো কী! নদিয়ায় পুরনো বাড়ির মাটি খুঁড়তেই মিলল বহুমূল্য তিনটি বিষ্ণু মূর্তি, তারপর….
কৃষকরা বাৎসরিক ছয় হাজার টাকা আর্থিক সাহায্য পান পিএম কিষান যোজনায়। পাশাপাশি এবার থেকে কৃষক বন্ধু প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের চাষীরা পাবেন ১০ হাজার টাকা করে। নবান্ন সূত্রে খবর, পুজোর আগেই কৃষকদের কৃষক বন্ধুর দুই কিস্তির টাকা দিয়ে দেওয়া হবে। এই প্রকল্পে যে সকল কৃষকের নাম রয়েছে, তারা প্রতিবছর রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে আর্থিক সাহায্য পেয়ে থাকেন।
আরোও পড়ুন : কিছুক্ষণ বিরাম নিয়েই ফের তাণ্ডব! নতুন সপ্তাহে কেমন খেল দেখাবে দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া?
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এই প্রকল্পটি রাজ্যের ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সী কৃষকদের জন্য। অন্যদিকে, জানা গেছে, কৃষক বন্ধু প্রকল্পে এবার থেকে দেওয়া হবে ডেথ বেনিফিট। কৃষকের মৃত্যু হলে তার পরিবার সরকারের পক্ষ থেকে দু লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য পাবে। প্রসঙ্গত সরকারের পক্ষ থেকে এই আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয় রবিশস্য ও খারিফ শস্য চাষের সময়। রবিশস্য চাষের টাকা দেওয়া হয় অক্টোবর থেকে মার্চ মাসের মধ্যে।
সরকার এই দশ হাজার টাকার মধ্যে পাঁচ হাজার টাকা দেবে খরিফ মৌসুমে এবং বাকি টাকা দেবে রবি মৌসুমে। পশ্চিমবঙ্গের যে সকল স্থায়ী বাসিন্দা কৃষক এবং যাদের ১ একরের কম জমি আছে তারা সরকারের পক্ষ থেকে বাৎসরিক ৪০০০ টাকা অনুদান পাবেন এবার থেকে। ১ একরের বেশি জমি থাকলে কৃষকরা বাৎসরিক ১০ হাজার টাকা করে পাবেন এবার থেকে।