বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পঞ্চায়েত (West Bengal Panchayat Election 2023) দামামা। ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার পর থেকে রাজ্য জুড়ে হিংসা। আর ভোটের দিনও সেই একই চিত্র। শনিবার নির্বাচন শুরুর সময় থেকেই বাংলার একাধিক প্রান্ত থেকে উঠে আসছে সংঘর্ষের চিত্র। এখনও পর্যন্ত পঞ্চায়েতের বলি ২৮। চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে রাজ্যের সাধারণ মানুষ। তবে তাই বলে ভোট থামেনি। কোথাও ভয়-আতঙ্ক মাথায় করে চলছে ভোট আর কোথাও চলছে দেদার ভোট লুঠ। চারিদিকে সন্ত্রাসের ছাপ।
এই গণতন্ত্রের পরিহাস নিয়ে এবার বিস্ফোরক রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এদিন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, “সাংবাদিকদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ছে তৃণমূলের এজেন্ট। এটা ১৯৫৬-র যন্ত্রনা। কুচ পরোয়া নাহি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশ মন্ত্রী আছেন, খুন করো ছাপ্পা মারো, ধর্ষণ করো, সাংবাদিকদের পেটাও, বিরোধীদের খুন করো! কিচ্ছু হবেনা। আমাদের পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলায় যতক্ষণ না এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রাক্তন করে জেলে ঢোকাতে পারছেন এই রাজ্যের মানুষের কোনও পরিত্রান নেই।”
শুভেন্দু আরও বলেন, “আমি জানি না রাজ্যপাল বা ভারত সরকার ভাবছেন কিনা, যেখানে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা করতে গেলে ৩৬৫ বা নির্বাচনের সময় ৩৫৫ করি, তাহলে পশ্চিমবঙ্গে কোনও ভোট হতে পারেনা। একাধিক জায়গায় ছাপ্পা, ভোট লুঠ চলছে। এটা অবৈধ নির্বাচন, অবৈধ পঞ্চায়েত ভোট। ”
এরপরেই কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বিরোধী দলনেতা বলেন, “ভারত সরকারের করের টাকা এই অবৈধ ভাবে জেতা পঞ্চায়েতকে আমি দিতে দেব না। ১০০ দিনের কাজের টাকা অর্থাৎ চুরির টাকা বন্ধ আছে। আবাস যোজনার একটা টাকা এরা পায় দ্বাদশ অর্থাৎ কমিশন, সেটা বন্ধ করবো। কালই মিড-ডে-মিলের নির্দেশিকা এসেছে, সব বিডিও গুলো জেলে যাবে। ডিএম রা জেলে যাবে। শিক্ষা দফতরের মনীশ জৈনরা জেলে যাবে। ক্যাগের রিপোর্ট এসেছে। আমি কাল আপনাদের সামনে প্রকাশ করেছি। চোরেদের ঠিকানা হবে জেল।”