বাংলা হান্ট ডেস্ক : গত বছরটা আম জনতার জন্য একেবারেই ভালো যায়নি। একে তো মুল্যবৃদ্ধির ধাক্কা তার উপর আবার মাথা খারাপ করা বিদ্যুৎ বিল (Electricity Bill)। গত বছর গ্রীষ্মে রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার (West Bengal State Electricity Distribution Company Limited) বহু গ্রাহক বিদ্যুতের বিল নিয়ে অভিযোগ তুলেছিলেন। বিশেষ করে নিম্নবিত্ত এবং মধ্যবিত্তদের দাবি ছিল, বাড়িতে মাইক্রোওভেন বা ওয়াশিং মেশিনের মত বৈদ্যুতিক পণ্য না থাকা সত্বেও যে বিল এসেছে তা মাত্রাতিরিক্ত।
যদিও বিদ্যুৎ দফতরের দাবি ছিল, গ্রাহকদের ব্যবহৃত ইউনিটের উপর ভিত্তি করেই বিল তৈরি করা হয়েছে। এরপরেই সরব হন গ্রাহক-সহ সংশ্লিষ্ট মহল। গ্রাহকদের দাবি ছিল, কেন তিন মাসের বিল একসাথে নেওয়া হবে? সিইএসই-র মত মাসিক বিল পাঠানোর দাবিও তুলেছিল অনেকে। আর এবার ফের একবার সেই প্রশ্নের মুখে পড়লেন রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। জবাবে তিনি জানিয়েছেন, রাজ্যের অধিকাংশ গ্রাহক তিন মাসের বিল দিতেই বেশি আগ্রহী।
যদিও সিংহভাগ গ্রাহকের দাবি, তিন মাসের বিল একসাথে এলে খরচ সামলানো যায়না। বেশি খরচের কারণে বেশি টাকা দিতে তাদের। বিল প্রতি মাসে এলে সেই ঝামেলা থাকবেনা। খরচ অনেকটাই কমে যাবে এতে। এমনকি কোনও এক মাসে বিল বেশি এলে পরের মাসে তাতে রাশ টানতে পারবেন গ্রাহকরা। গ্রাহকদের এই দাবিকে সমর্থন জানিয়েছে, রাজ্যের বিরোধী দলগুলিও।
আরও পড়ুন : বিমানকর্মীদের অভদ্র ব্যবহার, নিউজিল্যান্ডে গিয়ে চরম হেনস্থার শিকার সৌরভ, হরভজন! ভাইরাল হল ভিডিও
বলে রাখা ভালো, যারা সিইএসসি-র গ্রাহক তারা মাসের শেষে বিদ্যুৎ বিল হাতে পেয়ে যান। তবে রাজ্যের অধিকাংশ মানুষই রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার গ্রাহক। যে কারণে সংস্থার উপর চাপও থাকে অনেক বেশি। এইদিন সাঁওতালডিহিতে এসে বিদ্যুৎমন্ত্রী বলেন, ‘এটা বলা খুব সহজ। কিন্তু কাজে করা কঠিন। কারণ অনেকবার এ নিয়ে সমীক্ষা করেছি। মাসে মাসে গ্রাহকেরা বিল মেটালে যে টাকাটা পাব তাতে হয়তো আমাদের আর্থিক বৃদ্ধি হবে। কিন্তু ২.২৫ কোটি গ্রাহকের অধিকাংশই গ্রামীণ এলাকার। কলকাতা-সহ হাওড়া, হুগলির একাংশে বিদ্যুৎ জোগান দেয় সিএসসিই। বাকি পুরোটা দিই আমরা। কিন্তু আমাদের ২.২৫ কোটি গ্রাহক চান তিন মাসে যেমন বিল দিচ্ছেন, সেই সুবিধাই পেতে।’
আরও পড়ুন : রাম মন্দিরকে পূর্ণ সমর্থন! সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘জয় শ্রী রাম’ লিখে বিশেষ বার্তা দিলেন কিরণ দত্ত
সেই সাথে অতিরিক্ত বিলের অভিযোগ প্রসঙ্গে বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বললেন, ‘এটা আদৌ হয় না। তিন মাসের বিলে ইউনিট প্রতি চার্জ বেশি পড়ে না। তিন মাসেও যা, তিন বছরেও তা-ই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারই একমাত্র গোটা দেশে ৭.১২ টাকায় বিদ্যুৎ দেয়। কয়লার দাম বেড়েছে। কয়লার অভাব ছিল। অন্য অনেক রাজ্য তা আমদানি করেছে। কিন্তু আমরা তা-ও আমাদের কয়লাখনি থেকে উৎপাদন করে মাসুল ওই ৭.১২ টাকাই রেখেছি।’