বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যের নার্সদের (Nurses) বিরুদ্ধে, বিশেষ করে সরকারি হাসপাতালের নার্সদের বিরুদ্ধে হামেশাই দুর্ব্যবহারের অভিযোগ করেন রোগী এবং তার পরিবারের লোকজন। নার্সদের খারাপ ব্যবহার নিয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরেও একাধিক অভিযোগ জমা পড়ে হামেশাই। এবার এই ইস্যুতেই কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার হুশিয়ারি দিল রাজ্যের স্বাস্থ্যভবন। নার্সের আচরণ কেমন হওয়া উচিত? সেই ব্যাপারে এবার নির্দেশিকা জারি করা হল।
নার্সদের (Nurses) আচরণ নিয়ে কড়া নির্দেশিকা জারি করল স্বাস্থ্যভবন
নার্সরা (Nurses) চিকিৎসা মহলের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ। স্বাস্থ্য ভবনের তরফে জারি করা বিবৃতিতে সেকথা উল্লেখ করে জানানো হয়েছে, নার্সরা ছাড়া চিকিৎসক এবং চিকিৎসা পরিষেবা কার্যত অচল। রোগীদের সারিয়ে তুলতেও তাঁদের ভূমিকা অপরিসীম। তাই রোগী এবং তাঁর পরিবারের উদ্দেশ্যে নার্সদের আচরণ সঠিক রাখা খুবই প্রয়োজন। একজন নার্সের ব্যবহার ঠিক কেমন হওয়া উচিত? স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে এবার একটি নির্দেশিকা জারি করে সে কথাই জানানো হয়েছে।
সরকারি ওই নির্দেশিকা জারি করে নার্সদের (Nurses) উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে রোগীর পরিবারের ক্ষেত্রে ‘এবিসিডি’ মেনে চলতে হবে। প্রথমত, সব সময় রোগী এবং তার পরিবারের সাথে ভালো ব্যবহার করতে হবে। দ্বিতীয়ত, রোগী এবং তার পরিবারের সাথে সহানুভূতিশীল হতে হবে। তৃতীয়ত, নম্রভাবে রোগী এবং তার পরিবারের সাথে আলাপচারিতা করতে হবে। চতুর্থত, রোগীর সেবার জন্য নিজেকে উৎসর্গ করতে হবে।
আরও পড়ুন: কড়াকড়ি শুরু! রাজ্যের সব থানাকে সতর্ক করল হাইকোর্ট! বিরাট নির্দেশ প্রধান বিচারপতির
সরকারি ওই নির্দেশিকায় স্বাস্থ্য ভবনের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে অনেক নার্সের (Nurses) আচরণ নিয়েই তাদের কাছে অভিযোগ জমা পড়েছে। তাই এবার থেকে এই নিয়ম মেনে কাজ না করলে এবং তার ভিত্তিতে যদি আরও অভিযোগ আসে সেক্ষেত্রে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কিছুদিন আগেই মেদিনীপুরের মেডিকেল কলেজে স্যালাইন কাণ্ডে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনার জেরে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল গোটা রাজ্যে। ওই ঘটনার পর ইতিমধ্যেই ১২জন চিকিৎসককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তোলা হয়েছে। চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে কড়াকড়ির পর এবার নার্সদের উদ্দেশ্যেও রাজ্য সরকারের এমন কড়া নির্দেশিকা জারি করায় নতুন করে জল্পনা তৈরী হয়েছে। গত বছরের আগস্ট মাসে আরজিকর কান্ডের পর থেকে রাজ্যের চিকিৎসকদের ওপর চাপ বাড়ানো হয়েছিল আগেই। আর এবার চাপ বাড়ানো হলো রাজ্যের নার্সদের ওপরেও।