ক্রমশ চোখ রাঙাচ্ছে মাঙ্কিপক্স! নতুন এই ভাইরাসে শিশুদের বিপদের সম্ভাবনা কতটা? জানুন বিস্তারিত

বাংলা হান্ট ডেস্ক: মহামারীর আতঙ্ক যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছেনা মানুষের। এমনিতেই, করোনার সংক্রমণের রেশ এখনও বজায় রয়েছে রাজ্য তথা দেশজুড়ে। ঠিক এই আবহেই এবার নতুন আতঙ্ক ক্রমশ গ্রাস করছে মানুষের মন। আর এই আতঙ্কের কারণ হল মাঙ্কিপক্স ভাইরাস। ইতিমধ্যেই রবিবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) তরফে জানানো হয়েছে যে, এখনও অবধি বিশ্বের প্রায় ১২ টি দেশে মাঙ্কিপক্সে সংক্রমণের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। শুধু তাই নয়, গত শুক্রবার পর্যন্ত ২০ জন আক্রান্ত হয়েছেন ব্রিটেনে। পাশাপাশি, এই ভাইরাসটি ১৪ টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।

মূলত, ওইসব দেশগুলি থেকে বহু মানুষ ভারতে আসেন। তাই ভারতকেও এবার সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এই প্রসঙ্গে গত শনিবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, স্পেন, পোর্তুগাল, জার্মানি, বেলজিয়াম, ফ্রান্স, ইতালি, সুইডেন এবং নেদারল্যান্ডস এই ১২টি দেশে মোট ৯২ জন মাঙ্কিপক্স সংক্রমিতের খবর পাওয়া গিয়েছে।

পাশাপাশি, আরও জানানো হয়েছে যে, যেসব রোগীর গায়ে ও মুখে ফুসকুড়ি দেখা যাচ্ছে এবং সম্প্রতি মাঙ্কিপক্সের নিশ্চিত কেস আছে, এমন দেশগুলিতে ভ্রমণ করেছেন অথবা এমন কোনো ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন, যাঁর একই রকম ফুসকুড়ি দেখা দিয়েছে বা নিশ্চিত অথবা সন্দেহজনক মাঙ্কিপক্স রোগী হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন, সেই রোগীদের সন্দেহজনক রোগীর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। মূলত, মাঙ্কিপক্সের প্রাথমিক উপসর্গ হচ্ছে জ্বর, মাথাব্যথা, হাড়ের জোড়া ও মাংসপেশিতে ব্যথা এবং অবসাদ। এছাড়াও, জ্বর হওয়ার পর দেহে গুটি দেখা দেয়। শুরুতে এসব গুটি দেখা দেয় মুখে। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে হাত, পায়ের পাতা-সহ দেহের অন্যান্য জায়গায়।

তবে কোনো দেশেই এই ভাইরাসের কারণে এখনও পর্যন্ত কোনো মৃত্যু ঘটেনি। এই প্রসঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, এসব ঘটনা নিশ্চিত করতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। যদিও, এই ভাইরাসকে ছোঁয়াচে এবং “মেল টু মেল সেক্সুয়াল ট্রান্সমিটেড ডিজিজ” বলেই দাবি করেছেন একদল বিজ্ঞানী।

Monkeypox CDC 645x645 1

মাঙ্কিপক্স ভাইরাস শিশুদের ক্ষেত্রে কতটা বিপজ্জনক?
এই প্রশ্নের উত্তরে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডাঃ অরিন্দম বিশ্বাস জানিয়েছেন যে, মাঙ্কিপক্স ভাইরাস শিশুদের ক্ষেত্রে অত্যন্ত বিপজ্জনক হতে পারে। কারণ, শিশুদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম। তবে, এই ভাইরাসের সংক্রমণে মর্টালিটি রেট বা মৃত্যু হার ৪-৬ শতাংশ এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রোগী ৩-৪ সপ্তাহের মধ্যেই সম্পূর্ণ সেরে ওঠেন।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর