বাংলাহান্ট ডেস্ক : যুগের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে স্মার্টফোনের ব্যবহার বেড়ে গিয়েছে মাত্রাতিরিক্ত ভাবে। দৈনন্দিন জীবনের নানান প্রয়োজনের জন্য প্রত্যেকেই কমবেশি হোয়াটসঅ্যাপের (Whatsapp) ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছেন। দূর দূরান্তে থাকা আত্মীয় পরিজনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা থেকে শুরু করে ওয়ার্ক ফ্রম হোমের জন্য প্রতি মুহূর্তে চোখ রাখতে হচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপের চ্যাটবক্সে।
আর এই বহুল জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপের দৌলতেই মুহুর্তের মধ্যে পাঠানো যাচ্ছে বিভিন্ন ছবি, ভিডিও এমনকি গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টসও। তবে, বহুক্ষেত্রেই ছবি বা ভিডিও পাঠানোর ক্ষেত্রে সামান্য অসতর্কতার জন্য ঘটে যাচ্ছে বড়সড় বিপদ। ফলে, হোয়াটসঅ্যাপের তরফে এবার চালু করা হল বেশ কয়েকটি কড়া নিয়ম। এই ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপের তরফে চালু হওয়া নয়া নিয়মবিধি, যা না মানলে জেল পর্যন্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।
শুধু তাই নয়, আপনি যদি এটি লঙ্ঘন করেন তবে হোয়াটসঅ্যাপ নিজেই বিষয়টি বিবেচনা করে অ্যাকাউন্ট ব্লক করতে পারে। ইতিমধ্যেই কোম্পানির তরফে দাবি করা হয়েছে, শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় নিয়ম না মানার কারণে গত মে মাসে প্রায় ১৬ লক্ষ অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দেওয়া হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপের পক্ষ থেকে।
কিন্তু এখন প্রশ্ন হল কী সেই নয়া নিয়মাবলী ? চলুন জেনে নেওয়া যাক, কোন কোন ক্ষেত্রে কি কি নিয়ম চালু করেছে হোয়াটসঅ্যাপ।
১) হোয়াটসঅ্যাপ নীতি অনুসারে, আপনি যদি ধর্মীয় মেরুকরণের উদ্দেশ্যে হিংসাত্মক কিছু ছবি বা ভিডিও শেয়ার করেন তবে আপনার জেল পর্যন্ত হতে পারে। ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাতকারী ব্যক্তি অথবা কোন রকম হিংসায় উস্কানি দিলে তাকে পুলিশের তরফে গ্রেফতার করার অধিকার আছে। এর পাশাপাশি, কোন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে ধর্ম সংক্রান্ত আপত্তিকর কোন তথ্য ছড়িয়ে পড়লে সেই গ্রুপের অ্যাডমিনের বিরুদ্ধেও কড়া ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।
২) কোন খবর সংক্রান্ত গুজব ছড়ানো হোয়াটসঅ্যাপের নীতির ক্ষেত্রে দণ্ডনীয় অপরাধ। সেক্ষেত্রে শিশু পর্ন, দাঙ্গামূলক ছবি ও অসামাজিক বিষয়বস্তু হোয়াটসঅ্যাপের নজরে এলে হোয়াটসঅ্যাপের টিমের তরফে আগে তার সত্যতা যাচাই করা হবে। যথোপযুক্ত প্রমাণ না মিললে বড়সড় সমস্যার মুখে পড়বেন সেন্ডার।
৩) বর্তমানে চ্যাটিংয়ের সঙ্গে ফটো ও ভিডিও শেয়ার করার ক্ষেত্রে হোয়াটসঅ্যাপের নীতির সঙ্গে উপযুক্ত নয় এমন কিছুর সন্ধান পাওয়া গেলে আপনাকে কেবল আদালতে যেতে হবে না, জেলও যেতে পারে। হোয়াটসঅ্যাপের নীতি ভঙ্গকারী প্রত্যেক ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে পারে কোম্পানি।
বহুল জনপ্রিয় এই ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপটির মাধ্যমে ফটো, ভিডিও শেয়ার করার পাশাপাশি যে কোন সময়েই ভয়েস কলিং বা ভিডিও কলিংও করা যায়। নিয়মিত হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করলেও আজও অনেকেই এই অ্যাপটির “রুলস এন্ড রেগুলেশন” জানেন না। সতর্কবার্তা উপেক্ষা করে যান। তাই, প্রিয়জনকে প্রয়োজনীয় ম্যাসেজ বা কোন ডকুমেন্ট পাঠানোর ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করুন। অন্যথায় বাড়তে পারে আপনারই বিপদ।