বাংলাহান্ট ডেস্ক : খাদ্য সংকট আরও তীব্র হচ্ছে পাকিস্তানে (Pakistan)। ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social media) ভাইরাল হয়েছে সামান্য কিছু আটার জন্য সরকারি বিতরণ কেন্দ্র জনগণের ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার ভিডিও। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, বিভিন্ন সরকারি বিতরণ কেন্দ্রে আটা ও ময়দা নিতে আসা বহু মহিলা সহ ১১ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, গরিব মানুষদের সাহায্যের জন্য বিশেষ করে পাঞ্জাব প্রদেশে বিনামূল্যে আটা ও ময়দা বিতরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এরপর বিভিন্ন সরকারি বিতরণ কেন্দ্র থেকে প্রাণহানির খবর সামনে আসছে। পাকিস্তানের বিভিন্ন সংবাদপত্র দাবি করছে, বিনামূল্যে এই প্রকল্প চালুর মূল উদ্দেশ্য হল পাকিস্তানের বিরোধী দলনেতা ইমরান খানের জনপ্রিয়তা হ্রাস করা।
মঙ্গলবার দক্ষিণ পাঞ্জাব, সাহিওয়াল, বাহাওয়ালপুর, মুজাফফরগড় এবং ওকারার, এই চারটি জেলায় সরকারি বিতরণ কেন্দ্রে দুই মহিলা ও এক বয়স্ক পুরুষের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। এছাড়াও ৬০ জনের আহত হওয়ার খবরও পাওয়া গেছে। এই ঘটনাগুলির তীর পুলিশের দিকে। জানা গেছে, বিশৃঙ্খলা রোধ করার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে লাঠিচার্জ করা হয়েছে।
কিছুদিন আগেই আটার ট্রাক লুট হয় মুজাফফরগড় ও রহিম ইয়ার শহর থেকে। এরপর প্রশাসনের তরফ থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়। প্রসঙ্গত, বিগত কয়েক বছর ধরে ক্রমশ তলানিতে ডুবে যাচ্ছে পাকিস্তানের অর্থনীতি। মূল্যবৃদ্ধির ফলে নাজেহাল সাধারণ মানুষ। এমন অবস্থায় সরকার সামান্য কিছু বিনামূল্যে আটা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে গরীব মানুষকে।
More Attanomics. A Rs 20 bln tragedy in the making. Rs 75 bln including Punjab. Never has so much been spent in so callous a way in so short a time. pic.twitter.com/5codyoLWru
— Taimur Khan Jhagra (@Jhagra) March 27, 2023
কিন্তু সেই আটা বিতরণ কেন্দ্রগুলিতে বিশৃঙ্খলার ফলে বহু মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন। অপরদিকে, বিশৃঙ্খলা ও যানজট এড়াতে পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মহাসিন নাকভি প্রদেশ জুড়ে সকাল ছটায় আটা বিতরণ কেন্দ্র খুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। অপরদিকে, সাধারণ মানুষের আহত ও নিহত হওয়ার ঘটনায় দেশের বিরোধী দলনেতা ইমরান খান দায়ী করেছেন শাহবাজ সরকারকে।