বাংলা হান্ট ডেস্ক : বাংলার নেত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমোর প্রস্তাবেই পড়ল সিলমোহর। মমতাবিহীন বৈঠক থেকেই ঘোষণা করা হল সিদ্ধান্ত। মোদী বিরোধী ‘ইন্ডিয়া’ (INDIA Alliance) জোটের চেয়ারপার্সন নির্বাচিত হলেন কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে (Mallikarjun Kharge)। তার সাথে খবর, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে (Nitish Kumar) কনভেনর (Convenor) অর্থাৎ পার্টির আহ্বায়ক মনোনীত করা হয়েছে। যদিও গোপন সূত্রে খবর, এই প্রস্তাব প্রত্যাখান করেছে জেডিইউ নেতা।
তারপর থেকেই গোটা দেশের মানুষের মুখে একটাই প্রশ্ন যে, কেন এই প্রস্তাব প্রত্যাখান করলেন নীতিশ? আপাতত ৫টি কারণ খুঁজে বের করেছেন রাজনৈতিক কারবারিরা।
১. এর আগে নীতীশ কুমারের পরামর্শ ছিল, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের জন্য কোনও মুখ তুলে ধরার দরকার নেই।
২. পিটিআই সূত্রে খবর, জেডি(ইউ) নীতীশ কুমারকে আহ্বায়ক হিসাবে চেয়েছিল কিন্তু টিএমসি তার বিরোধিতা করায় ক্ষুণ্ণ হয় নীতীশ কুমারের দল। গোপন সূত্রে খবর, নীতীশ কুমার নাকি বলেছেন, সমস্ত পক্ষ রাজি হলে তবেই তিনি এই পদ গ্রহণ করবেন।
৩. এদিকে শরদ পাওয়ার বলেন, ‘ব্লক সদস্যদের দ্বারা (সভা চলাকালীন) একটি পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল যে নীতীশ কুমারকে এর আহ্বায়ক হিসাবে নিযুক্ত করা হবে। তবে পরবর্তীতে সবাই বলেছিলেন যে দলীয় প্রধানদের একটি দল গঠন করা উচিত এবং আহ্বায়ক নিয়োগের কোনও প্রয়োজন নেই।’
আরও পড়ুন : রাম মন্দির উদ্বোধনের পরেই হু হু করে বাড়বে এই ৫ স্টক! কিনে রাখুন, কপাল খুলে যেতে পারে
৪. বিভিন্ন মিডিয়া রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে যে, ইন্ডিয়া জোটের বেশ কিছু সদস্য নাকি বলেছেন, ভোটের আগে কোনও মুখ ঠিক করার প্রয়োজন নেই। নির্বাচনের পর কে নেতা হবে তা আমরাই ঠিক করব। সেই সাথে এনসিপি সভাপতি বলেন, ‘এটি একটি ইতিবাচক লক্ষণ যে বেশ কয়েকটি দল জোটবদ্ধ হওয়ার জন্য একত্রিত হচ্ছে।’
৫. বৈঠকের পর শরদ পাওয়ার বলেন, ‘ইন্ডিয়া ব্লকের বৈঠকে কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সারাদেশে জোটের যৌথ সমাবেশের বিষয়ে একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন : পবিত্র মদিনায় হিন্দু মহিলা! স্মৃতির সফর ঘিরে রেগে লাল কট্টরপন্থীরা, যোগ্য জবাব দিলেন তসলিমা
৬. এইদিন শরদ পাওয়ার আরও জানিয়েছেন, ‘প্রার্থী (লোকসভা নির্বাচনের জন্য) আলোচনা করা হয়নি…আমরা আসন ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনা করব। মহারাষ্ট্রের লোকসভা আসনগুলির জন্য, আসন ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং এটি চূড়ান্ত হয়ে গেলে আমরা ঘোষণা করব।’
নীতীশ কুমারের প্রত্যাখানের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে আপাতত এইসব কারণ গুলির উপরেই বেশি জোর দিচ্ছে রাজনৈতিক মহল। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এইদিনের ভার্চুয়াল মিটিং-এ বাকি সব উপস্থিত থাকলেও তাতে হাজির ছিলেন না তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা এবং সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী অনুপস্থিত ছিলেন কারণ তিনি একটি পূর্ব-নির্ধারিত রাষ্ট্রীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন।