বাংলা হান্ট ডেস্ক: বিয়ের মাত্র ১০ মাস পরেই বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন স্ত্রী। এমনকি, সালিশি সভার মাধ্যমে ভেঙে যায় দু’জনের বিয়েও। এছাড়াও, স্ত্রীকে দিতে হত মোটা অঙ্কের খোরপোশ। কিন্তু, এসবের মাঝেই হঠাৎ ঘুমের মধ্যে প্রাণ হারালেন এক যুবক। নিজের ঘর থেকেই উদ্ধার হয় ওই যুবকের দেহ। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে ময়নাগুড়ি ব্লকের দক্ষিণ পুঁটিমারি এলাকায়। মৃত যুবকের নাম হল কম্বু বর্মন।
মৃতের পরিবারের সূত্রে জানা গিয়েছে, রীতিমত ধুমধাম করেই বিয়ে দেওয়া হয়েছিল কম্বু বর্মনের। কিন্তু, দাম্পত্য জীবন সুখের হয়নি তাঁর। বিয়ের মাত্র ১০ মাসের মধ্যেই কম্বুর স্ত্রী বাড়ি ছেড়ে চলে যান। এদিকে, এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বসে সালিশি সভাও। সেখানেই ভেঙে যায় দু’জনের বিয়ে।
শুধু তাই নয়, সালিশি সভায় ঠিক হয় যে, স্ত্রীকে খোরপোশ বাবদ ৪ লক্ষ টাকা দিতে হবে ওই যুবককে। সেই অনুযায়ী, স্ত্রীকে ২ লক্ষ টাকা দিয়ে দেন তিনি। জানা গিয়েছে, তাঁর স্ত্রীর নাম বিজয়া রায়। তিনি ময়নাগুড়ি ব্লকের রাজারহাট এলাকার বাসিন্দা। কিন্তু, ওই সময়েই মাতৃহারা হন কম্বু। এমতাবস্থায়, সব দিক থেকেই জর্জরিত হয়ে পড়েন তিনি। স্ত্রীর চলে যাওয়া, খোরপোশের টাকা এবং মায়ের মৃত্যুতে রীতিমত দিশেহারা অবস্থা হয়ে যায় ওই যুবকের।
এই আবহেই বাড়ির শোওয়ার ঘর থেকে উদ্ধার হয় তাঁর নিথর দেহ। প্রাথমিকভাবে ঘুমন্ত অবস্থাতেই কম্বুর মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে, পুলিশ দেহ উদ্ধার করে তা ময়নাতদন্তের জন্য জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে। তবে, কিভাবে এই অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘটল তা জানতে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।