স্বামী চাননা ডিভোর্স, তবুও শ্বশুরবাড়ি ফিরতে পারছেন না বালির দুই গৃহবধূ! থাকতে হচ্ছে লুকিয়ে

বাংলা হান্ট ডেস্ক: গত ডিসেম্বরে বালির দুই গৃহবধূ রিয়া এবং অনন্যা কর্মকার বাড়িতে কাজ করতে আসা রাজমিস্ত্রিদের সাথে পালিয়ে যাওয়ার পরই প্রায় রয়েছেন খবরের শিরোনামে। যদিও পরে শেখর এবং শুভজিত নামের ওই দুই রাজমিস্ত্রি তাঁদের সাথে সংসার বাঁধতে চাইলেও তাঁরা সেটায় রাজি কিনা বা শ্বশুরবাড়ি রিয়া-অনন্যাকে মেনে নেবে কিনা তা নিয়ে উঠেছে একাধিক প্রশ্ন।

যদিও, বর্তমানে ওই দুই গৃহবধূই রয়েছেন হাওড়ার লিলুয়ায় অনন্যার বাপের বাড়িতে। কিন্তু, তাঁদের ভবিষ্যৎ নিয়ে এখনও তাঁরা রয়েছেন দোটানায়। সাংবাদিকদের দেখে কেউ কিছু বলতে না চাইলেও গোটা বাড়িতেই রয়েছে একটা থমথমে পরিবেশ। পরিবারের সবাই যে যথেষ্ট চিন্তার মধ্যে রয়েছেন তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা।

স্থানীয়সূত্রে জানা গিয়েছে যে, রিয়া-অনন্যা লিলুয়ার বাড়িতে থাকলেও কোথাও বেরোননা তাঁরা। পাশাপাশি, অনন্যার বাপের বাড়ির লোকজন তাঁদের শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছেন বলে জানা গিয়েছে। সব কিছু ভালোভাবে মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হলেও এখনও ওই দুই গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ি ফেরা অনিশ্চিত হয়ে রয়েছে।

এই প্রসঙ্গে অনন্যার বাবা এবং মা স্পষ্টভাবে কিছু না জানালেও তাঁরা শুধু বলেন, রিয়া-অনন্যা শ্বশুরবাড়ি ফিরবেন কিনা তা এখনও নিশ্চিত নয়। সাংবাদিকদের কাছে মুখ খোলেননি অনন্যাও।

WhatsApp Image 2022 01 16 at 12.33.00 PM

 

যদিও, অনন্যার স্বামী পলাশ কর্মকার দাবি করেছেন যে, তাঁরা কেউই ডিভোর্স দেওয়ার কথা ভাবছেন না। পাশাপাশি, ওই দুই রাজমিস্ত্রি রিয়া-অনন্যার “ব্রেনওয়াস” করে এই কান্ড ঘটিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। তবে, কবে তাঁরা শ্বশুরবাড়িতে ফিরতে পারেন সেই বিষয়ে এখনও কিছু স্পষ্ট জানা যায়নি।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ১৫ ডিসেম্বর দুপুরে শ্রীরামপুরে শীতের পোশাক কিনতে যাবেন বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন একই পরিবারের দুই গৃহবধূ। সঙ্গে ছিল একজনের সন্তানও। তারপরই তাঁদের মোবাইল ফোন বন্ধ হয়ে যায়। কর্মকার পরিবারের তরফে নিশ্চিন্দা থানায় একটি নিখোঁজ সংক্রান্ত অভিযোগ দায়ের করা হলে তদন্তে নেমে পুলিশ পুরো বিষয়টি জানতে পারে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর