বাংলাহান্ট ডেস্ক : অসমবয়সী এক প্রেমের খবর সাম্প্রতিককালে সামনে এসেছে। পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে এক গৃহবধূ ত্যাগ করেছিলেন স্বামীর ঘর। সাথে নিয়ে ছিলেন নাবালিকা কন্যা সন্তানকে। কিন্তু নতুন প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে তাজ্জব বনে গেলেন তিনি। কিন্তু ঠিক কি হয়েছিল সেই মহিলার সাথে?
হুগলির মগড়ার বাসিন্দা ওই মহিলার সাথে এক অবৈধ সম্পর্ক তৈরি হয় উত্তর ২৪ পরগনার এক তরুণের। ফেসবুক থেকে আলাপ পরিচয়, এরপর নিমেষেই তা বদলে যায় প্রেমের সম্পর্কে। নিয়মিত ফোনে চলত কথা। এরপর নিজের নাবালিকা ১৪ বছর বয়সী কন্যা সন্তানকে নিয়ে উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরে প্রেমিকের বাড়িতে উপস্থিত হন সেই মহিলা। কিন্তু সেখানে গিয়ে তিনি দেখেন তার “ভার্চুয়াল” প্রেমিক এর বয়স মাত্র কুড়ি বছর!
সেই যুবকটিকে দেখে সম্পূর্ণভাবে মোহভঙ্গ হয় মহিলার। যার সাথে এতদিন ধরে ভার্চুয়ালি প্রেমালাপ চালাতেন সে নিতান্তই এক তরুণ, তার ছেলের বয়সী!
জুলাই মাসের ২৪ তারিখ মগরা থানায় মহিলাটি স্বামী তার স্ত্রী ও কন্যাকে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন। ফোনের টাওয়ার লোকেশন থেকে পুলিশ জানতে পারে ওই মহিলা এবং তার কন্যা রয়েছেন উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুর এলাকায়। এরপর হুগলির মগরা থানার পুলিশ দত্তপুকুরে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করে ওই মহিলা ও তার কন্যাকে। চুঁচুড়া আদালতে পেশ করে গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয় নাবালিকা মেয়েরও।
মগরা থানার পুলিশ জানিয়েছে, মহিলাটির সাথে যে ছেলেটির অবৈধ প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তারা বয়স মাত্র কুড়ি বছর। তা জানার পরই মোহভঙ্গ হয় ওই মহিলার।লোকলজ্জার কারণে নিজের স্বামীর বাড়ি তিনি ফিরতে পারছিলেন না। এরপর দত্তপুকুর এলাকাতে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে কন্যাকে নিয়ে থাকতে শুরু করেন। সংসার চালানোর জন্য খুঁজতে থাকেন কাজ। পরে ওই মহিলাটি পুলিশকে জানান, তিনি নিজের ইচ্ছাতেই বাড়ি ছেড়েছিলেন। কেউ তাকে অপহরণ করেনি। প্রেমিকের বয়স জানার পরই মোহভঙ্গ হয় তার।