বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ ১২ বছর পর আবারো একবার ভারতের মাটিতে আয়োজিত হতে চলেছে ওডিআই বিশ্বকাপ (2023 ODI World Cup)। ২০১১ সালের শেষবার যখন ভারতের মাটিতে ওডিআই বিশ্বকাপ আয়োজিত হয়েছিল তখন ফাইনালে প্রতিবেশী দেশ শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ট্রফি ঘরে তুলেছিল ভারতীয় দল (Indian Cricket Team)। মহেন্দ্র সিংহ ধোনির (MS Dhoni) নেতৃত্বে সেই কাজটা করে দেখিয়েছিল ‘মেন ইন ব্লুজ’। এবার কি রোহিত শর্মার (Rohit Sharma) নেতৃত্বে ঠিক একই কাজটা করতে পারবে তারা?
সকলেই জানেন যে ভারতের ২০১১ সালের বিশ্বকাপ জয়ের পেছনে একটা বড় কারণ ছিল যুবরাজ সিংয়ের মতো তারকার অলরাউন্ড পারফরম্যান্স। গোটা বিশ্বকাপে ব্যাট হাতে দুরন্ত ছন্দে থেকে ৩৬২ রান করার পাশাপাশি যখন যখন ধোনি তাকে বোলিংয়ে ব্যবহার করেছেন তিনি উইকেট তুলে দলকে সাহায্য করেছেন এবং টুর্নামেন্টে মোট ১৫ টি উইকেট পেয়েছিলেন। সম্প্রতি ভারতীয় দলের বিশ্বকাপ জয়ের সুযোগ ও সম্ভাবনা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন তিনি।
তিনি যে মন্তব্যটি করেছেন তা শুনে হতাশই হবেন ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীরা। যুবরাজ সিং এমনটা কখনোই বলেননি যে ভারতের পক্ষে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়া সম্ভব নয় দেশের মাটিতে। কিন্তু তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে ভারতকে সেই কীর্তি গড়ে দেখাতে গেলে তাদের বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে যেগুলি কাটিয়ে উঠতে হবে। নয়তো গত তিন ওডিআই বিশ্বকাপ ধরে গড়ে ওঠার আয়োজকদের ট্রফি ঘরে তোলার ধারায় ছেদ ঘটতে পারে।
আরও পড়ুন: রোহিত এবং BCCI-এর চক্রান্তে বিশ্বকাপের আগে নষ্ট হচ্ছে কোহলির প্রতিভা! ফাঁস হলো বড় সত্য
যুবরাজ সিং নিজের বক্তব্যে বলেছেন, “আমি দেশপ্রেমী সেজেই ফেলতে পারি এবং বলে ফেলতে পারি যে হ্যাঁ ভারতই আসন্ন ওডিআই বিশ্বকাপ ঘরে তুলতে চলেছে। কিন্তু আমি সত্যি সত্যি দেখতে পাচ্ছি বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে ভারতীয় দলে। চোট আঘাতের কারণে ভারতের মিডল অর্ডারে একটা গহ্বর তৈরি হয়েছে। আপাতত সেটা পূরণ হওয়ার কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।”
আরও পড়ুন: ফের ভারতের বিশ্বকাপের সেরা একাদশ বাছতে বসে সমস্যায় দ্রাবিড় ও BCCI! নজরে এলো এই দুই তারকা
সমর্থকরা বুঝতে পারছেন যে যুবরাজ খুব একটা ভুল বলেননি। রিশভ পন্থ, শ্রেয়স আইয়ার, লোকেশ রাহুলের মতো ক্রিকেটাররা চোটের কবলে পড়ায় একটা শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে। সূর্যকুমার যাদব, সঞ্জু স্যামসন-দের দিয়ে সেই শূন্যতাকে ঢাকা যাচ্ছে না আপাতত। দ্রুত যদি সেই সমস্যার সমাধান রোহিত শর্মা এবং রাহুল দ্রাবিড় খুঁজে না বার করতে পারেন তাহলে হয়তো দেশের মাটিতেই স্বপ্নভঙ্গের যন্ত্রণা বয়ে বেড়াতে হবে সকলকে আরো চারটি বছর।