আঙুলের ছাপ না মেলায় রেশন পাচ্ছেন না দেড় কোটি মানুষ! চরম ভোগান্তিতে রাজ্যবাসী

বাংলাহান্ট ডেস্ক : রেশন তুলতে গিয়ে মিলছে না আঙুলের ছাপ। আর তার জেরে ন্যায্য রেশন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রাজ্যের (West Bengal) প্রায় দেড় কোটি মানুষ। অভিযোগের পাহাড় খাদ্য দপ্তরের বিরুদ্ধে।

ডিজিটাল রেশন কার্ড (Ration Card) চালু হওয়ার পর রেশন কার্ডের সাথে আধারের বায়োমেট্রিক সংযোগ করা বাধ্যতামূলক হয়। এর ফলে অফলাইন ও অনলাইন বিভিন্নভাবে রেশন কার্ডের সাথে আধার সংযুক্তিকরণ এর প্রক্রিয়া চালায় খাদ্য দপ্তর। তাই বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী রেশন তুলতে গেলে সুবিধাভোগীকে আঙুলের ছাপ প্রদান করতে হবে। রেকর্ডে দেওয়া আঙুলের ছাপের সাথে সেই ছাপ মিললে তবেই তাকে রেশন প্রদান করা হবে। কিন্তু রেশন ডিলার ও গ্রাহকদের অভিযোগ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই ছাপ না মেলার ফলে গত এক বছরে সাসপেন্ড করা হয়েছে ১ কোটি ৫৮ লক্ষ ২৯ হাজার ১৮২ টি রেশন কার্ডকে।

   

সম্প্রতি খাদ্য দপ্তরে পক্ষ থেকে জানা যায় আঙুলের ছাপ নেওয়ার প্রক্রিয়া বদল করে আঙুলের ছবি তোলার প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে। গ্রাহক সম্পর্কে আরো বেশি তথ্য মজুদ করার জন্য এই প্রক্রিয়া শুরু করছে আধার দপ্তর। এই ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানানো হলে তারা রেশন কার্ডের ক্ষেত্রেও এই পরিবর্তন আনছেন। সূত্রের খবর তার মধ্যেই আঙুলের ছাপ না মেলায় নিজে থেকেই প্রায় দেড় কোটি রেশন কার্ড সাসপেন্ড হয়ে গেছে।

অন্যদিকে রেশন ডিলারদের অভিযোগ, গ্রাহকদের আধার আছে, রেশন কার্ডের সাথে তারা আধার সংযুক্তিকরণ অর্থাৎ বায়োমেট্রিকও করিয়েছেন। তাদের রেশন কার্ড বৈধ। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই আঙুলের ছাপ না মেলায় তাদের রেশন দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এই ব্যাপারে খাদ্য দপ্তরকে একাধিকবার অভিযোগ করলেও কোন সুরাহা হয়নি। তাদের আরো অভিযোগ খাদ্য দপ্তরে কর্মীদের একাংশের মধ্যে গাফিলতির জন্য ন্যায্য রেশন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।

খাদ্য দপ্তরের সাথে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে এক আধিকারী আমাদের জানান, পুরনো সিস্টেমের মধ্যে নতুন সিস্টেম আপডেট এর প্রক্রিয়া চলছে। এটি একটি প্রযুক্তিগত কাজ। তাই অনেক সময় কিছু বিভ্রাট দেখা দিচ্ছে। তবে অনেকাংশই আমরা সেই বিভ্রাট কমিয়ে আনতে পেরেছি ।

যদিও অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলারস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসুর অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবার জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করলেও দপ্তরের কিছু কর্মীর উদাসীনতায় সেই প্রক্রিয়া ধাক্কা খাচ্ছে। যার ফল ভুগতে হচ্ছে গ্রাহকদের। বৈধ কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও তারা রেশন পাচ্ছেন না।”

Avatar
Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর