বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ভাঙ্গন ধরেছে তৃণমূল (All India Trinamool Congress) শিবিরে। বিধানসভা নির্বাচনের আগেই ভাঙ্গন অব্যাহত সবুজ শিবিরে। দলের বিরুদ্ধে একাধিক বিষয়ে অভিযোগ, ক্ষোভের বশর্বতী হয়ে দল ছাড়ছেন তৃণমূলের সমস্ত হেভিওয়েট নেতৃত্বরা। তৃণমূল ছেড়ে নাম লেখাচ্ছেন কেউ বিজেপি শিবিরে, আবার কেউ অন্যত্র।
রাজনৈতিক শিবিরে ভাঙ্গা গড়ার খেলা প্রায় সারাবছর ধরেই লেগে থাকে। তবে নির্বাচনের আগে আগে এই রাজনৈতিক টানাপড়েন আরও বড় আকার ধারণ করে। এবার একুশের নির্বাচনের পূর্বে তৃণমূল শিবিরে শুরু হয়েছে দল ভাঙ্গার খেলা। দলের হেভিওয়েট নেতৃত্বরা দল ছেড়ে নাম লেখাচ্ছেন বিরোধী শিবিরে গিয়ে। কেউ উগরে দিয়েছেন দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ, কেউ বা আবার মেনে নিতে পারেননি দলে প্রশান্ত কিশোরের হস্তক্ষেপ। সবমিলিয়ে নানারকম অভিযোগের সুর তুলে দল ছেড়েছেন বহু তৃণমূল নেতৃত্ব।
সম্প্রতি অমিত শাহের মেদিনীপুর সভায় প্রাক্তন তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারী সবুজ শিবিরের ছত্রছায়া ত্যাগ করে নাম লিখিয়েছেন বিজেপি শিবিরে। সেইসঙ্গে আরও অনেক তৃণমূল নেতৃত্ব সেদিন হতে তুলে নিয়েছিলেন বিজেপির পতাকা। দিদির বিরুদ্ধে গিয়ে নাম লিখিয়েছিলেন গেরুয়া শিবিরে।
সেই ভাঙ্গন অব্যাহত রেখে আবারও দল ছাড়লেন তৃণমূলের বেশ কয়েকজন বাঘা সৈনিক। মাল ব্লকের ডামডিম (Damdim) গ্রাম পঞ্চায়েত ১৯ জন সদস্য ইস্তফা দেওয়ার ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় গোটা এলাকায়। ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের ২২ জন তৃণমূল সদস্যের মধ্যে ১৯ দল ইস্তফা দেওয়ায় বেশকিছুটা চাপে পড়ে গিয়েছে তৃণমূল। ইস্তফা দেওয়া তৃণমূল নেতাদের অভিযোগ- পঞ্চায়েতের এগজিকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্ট এবং সেক্রেটারি বোর্ড কোনভাবে তাদের কাজে সহোযোগিতা করছেন না। যার ফলে সকলরকম সুবিধার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। সেই কারণে তারা ইস্তফা দিয়েছেন।