পঞ্চায়েত ভোটের আগে থমথমে বীরভূম, মিলল ৮০টি তাজা বোমা, আতঙ্কে এলাকাবাসী

বাংলা হান্ট ডেস্ক : আবারও উত্তপ্ত বীরভূম (Birbhum)। ফের বিপুল পরিমাণে বোমা উদ্ধার হল কেষ্টর গড়ে। সম্প্রতি বিস্ফোরণে দুই তৃণমূল কর্মীর মৃত্যুর পর থেকেই তৎপর জেলা পুলিস। বীরভূমে লাগাতার তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে তারা। শনিবার রাতে তল্লাশি চলাকালীন সদাইপুর থানার পাঁচটি এলাকা থেকে অন্তত ৮০টি বোমা উদ্ধার করল পুলিস। বোমাগুলি কী উদ্দেশ্যে, কারা মজুত করেছিল তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।

মাড়গ্রামে বোমা মেরে দুই তৃণমূল কর্মীকে খুন করার পর গোটা বীরভূম জুড়েই পুলিসি টহলদারি শুরু হয়েছে। জায়গায় জায়গায় চলছে তল্লাশি। সেই সূত্রেই দু’দিন আগে লালমোহনপুর এলাকায় কন্টেনার বোমা উদ্ধার হয়। এরপর আরও জোর কদমে শুরু হয় তল্লাশি। শনিবার রাতে ডিএসপি অয়ন সাধুর নেতৃত্বে আরও একবার লালমোহনপুর এলাকায় তল্লাশি চলে। সেখানেই ড্রামে ভরতি প্রচুর বোমা উদ্ধার হয়। পুলিসের বিশেষ সূত্রে খবর, সদাইপুর থানার তুরুকবরিহাট,মানিকপুর-সহ পাঁচ জায়গা থেকে বোমা ভরতি ড্রাম উদ্ধার হয়েছে। পুলিসের দাবি, ড্রামগুলিতে ৮০-টির বেশি বোমা থাকতে পারে।সমস্ত বোমাই নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।

কয়েকদিন আগে ওই গ্রামেরই একটি কলাবাগানের ঝোঁপ থেকে কন্টেনার বোমা উদ্ধার করে পুলিস। জেলা পুলিশ সুপারের দায়িত্ব নিয়ে ভাস্কর মুখোপাধ্যায় তল্লাশি ও টহলদারির উপর জোর দিয়েছেন। তবে কে বা কারা এবং কী উদ্দেশ্যে বোমা মজুত করেছিল তা এখনও জানা যায় নি। ফলে এই ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।

bomb

এদিকে ফের, ফের সাতসকালে দুষ্কৃতী হামলা ভাটপাড়া এলাকায়। তৃণমূল নেতাকে লক্ষ্য করে ছোঁড়া হল বোমা, চলল গুলিও। ভাগ্যের জোরে প্রাণে বেঁচেছেন তিনি। রবিবার সকালের এই ঘটনায় তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে জগদ্দল থানার পালঘাট রোড এলাকায়। গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তৃণমূলের ওয়ার্ড সভাপতি। কে বা কারা কী উদ্দেশে এই ঘটনা ঘটিয়েছে তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।

আক্রান্ত তৃণমূল (TMC) নেতার নাম অশোক কুমার সাউ। তিনি ভাটপাড়ার ১২ নং ওয়ার্ডের তৃণমূলের সভাপতি। এদিন সকালে অশোকবাবু তাঁর বাড়ির পাশের বাজারে যাচ্ছিলেন। তখনই তাঁর উপরে দুষ্কৃতীরা হামলা চালায়। ছয় রাউন্ড গুলি এবং একটি বোমা ছুঁড়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা।


Sudipto

সম্পর্কিত খবর