আজকাল হামেশাই খবরের কাগজের পাতায় কিংবা সংবাদের শিরোনামে আবার নিউজ মাধ্যমগুলিতে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস এই ধরনের খবর প্রকাশিত হয়৷ যদিও এই অবধি আমরা জানতে পারি পরবর্তী কী ঘটল তা আমাদের অজানা৷ আমাদের সমাজে বিয়ের আগে উভয়ের সম্মতিতে সহবাসের পর যদি ছেলে বা মেয়ের পরিত্যাগ করে সে ক্ষেত্রে অপরাধ যোগ্য বলে বিবেচনা করা হয় কিন্তু এ বার সেই ধারণা খানিকটা বদলে দিতে এক নতুন রায় দিল দিল্লি উচ্চ আদালত৷ এখন থেকেই বিবাহের আগেই স্ত্রী পুরুষের সম্মতিতে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপিত হলে পরেই যদি সেই সম্পর্ক ভেঙে যায় তা হলে কখনওই তা ধর্ষণ বা অপরাধ করে বিবেচিত হবে না৷ সম্প্রতি এমনই রায় দিয়েছে দিল্লির উচ্চ আদালত৷
প্রায় বছর তিনেক আগে এক মহিলা একটি পুরুষের বিরুদ্ধে প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগ এনেছিলেন, ওই মহিলার অভিযোগ ছিল ওই পুরুষের সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক ছিল তাই বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক দিন জোড় পূর্বক তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন ওই পুরুষ৷ এক বার নয় একাধিক বার তাঁদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়েছিল৷ পরে ওই পুরুষ তাঁকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন এবং তাঁদের সম্পর্ক ভেঙে দিতে বলেন আর এই অভিযোগে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই মহিলা তবে সম্প্রতি এই মামলার রায় দিতে গিয়ে দিল্লি আদালত সরাসরি জানিয়েছে, প্রেমিক বা প্রেমিকার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুযায়ী কোনো শাস্তিযোগ্য অপরাধ নয়,এমনকি দুজন প্রাপ্তবয়ষ্ক ব্যক্তির মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করাও কোনো অপরাধ নয়৷
অন্য দিকে দিল্লির উচ্চ আদালতের তরফ থেকে নো মিন্স নো এর সময় পেরিয়ে এখন ইয়েস মিন্স ইয়েস বিষয় জোর দেওয়ার সময় এসে গিয়েছে বলেও জানানো হয়েছেই৷ তাই শারীরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে মৌখিক না মানে সেটা এক পক্ষের অনিচ্ছা বলেই গ্রাহ্য করা হবে, তাই দুটো প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির মধ্যে যদি ইচ্ছা অনুযায়ী শারীরিক সম্পর্ক হয় সে ক্ষেত্রে তা অপরাধ বলে গণ্য করা হবে না৷