বাংলা হান্ট ডেস্ক: রাজ্য সরকারের সঙ্গে বিভিন্ন ইশু নিয়ে রাজ্যপালের সংঘাত বার বার প্রকাশ্যে এসেছে। আর সেই সংঘাত বজায় রইল সংবিধানের ৭০ তম বর্ষপূর্তির দিনেও। বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনে ফের রাজ্যকে আক্রমণ করলেন রাজ্য়পাল জগদীপ ধনকড়। বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে আমাকে চ্যালেঞ্জের মুখে কাজ করতে হচ্ছে। সাংবিধানিক অধিকারের সঙ্গে সমঝোতা করতে হচ্ছে।”
উল্লেখ্য, ভারতীয় সংবিধানের গৃহীত হওয়ার ৭০ বছর পূর্তির উপলক্ষে বিধানসভায় বক্তব্য রাখলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। কিছুদিন আগেই তার উপস্থিতি নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিলেও বর্তমানে সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে ২৬ তারিখের এই বিশেষ অধিবেশনে তিনি উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একটি পুত্র সন্তানের বাবা হয়েছেন, অভিষেকের এই সদ্যজাত শিশুকে দেখতে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়৷ কয়েকদিন আগে এই প্রসঙ্গ টেনে এনে রাজ্যপালের তীব্র সমালোচনা করেন কংগ্রেস নেতা অধীর, তিনি বলেন, ‘আমাদের রাজ্যপাল মাঝেমধ্যে স্বইচ্ছায় নিজের ক্ষমতা জাহির করছেন৷ অন্যদিকে আবার হঠাৎ হঠাৎ তিনি রাজ্য সরকারের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন৷ রাজ্যপালের এই ফ্লিপ ফ্লপ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য একটি রাজনৈতিক পরিবেশে কখনোই মানায় না৷ রাজ্যপাল পথটা সাংবিধানিক হলেও অনেকটাই আলংকারিক। একজন রাজ্যপালের সবসময় রাজ্য সরকারের সাথে সমঝোতা করা উচিত এবং সামঞ্জস্য বজায় রেখে চলা উচিত। রাজ্যপালের কখনও রাজ্য সরকারের সঙ্গে অকারণে সংঘাত করা উচিত নয়, আর বাংলার রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় দিনের পর দিন তাই করে যাচ্ছেন।”
শুধু তাই নয় কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী নিজের চেয়ারের গুরুত্ব রাজ্যপালের বোঝা উচিত বলে মন্তব্য করেন, এদিন তিনি আরো বলেন, “রাজ্যপাল তার নিজের চেয়ার এর গুরুত্ব যে কতটা সেটা সবার আগে বুঝুক৷ পাশাপাশি, রাজ্যপালের প্রতি সরকারেরও দায়িত্ব বোঝা উচিত৷ তৃণমূলের যে কোনও নেতা রাজ্যপালকে নিয়ে যা খুশি বলছে, এটা শোভনীয় নয়৷ এতে রাজ্যের মর্যাদা নষ্ট হচ্ছে৷”