বাংলা হান্ট ডেস্ক : দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে চলা ঐতিহাসিক অযোধ্য়া মামলার রায়দান হয়েছে চলতি বছরের নভেম্বর মাসে। যেহেতু অযোধ্য়ার ওই বিতর্কিত জমিতে হিন্দুদের মন্দির নির্মানের রায় দেওয়া হয়েছিল তাই সেই রায় মেনে নেয়নি অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড সহ আরও বেশ কেয়কটি সংগঠন। এমনকি সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডও সন্তুষ্ট হয়নি। যদিও আদালতে রিভিউ পিটশন দায়ের করেনি। কিন্তু বাকিরা সকলেই অযোধ্যা মামলার রায় পুনর্বিবেচনার জন্য আদালতে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল। কিন্তু সেই সমস্ত চ্যালেঞ্জ গ্রাহ্য হল না।
শেষ অবধি শীর্ষ আদালত অযোধ্য়া মামলার রায়ের পুনর্বিবেচনার আর্জি খারিজ করে দিল। যে আঠেরটি আর্জি জমা পড়েছিল রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে তা খারিজ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। অনযদিকে কয়েকদিন আগে মুসলিমদের পাঁচ একর বিকল্প জমি দেওয়ার জন্য হিন্দু মহাসভার তরফে আদালতে রিভিউ পিটিশনের আর্জি জানানো হয়েছিল। উল্লেখ্য, ৯ নভেম্বর তারিখে ঐতিহাসিক অযোধ্য়া মামলার রায়ে অযোধ্য়ার বিতর্কিত জমিতে মন্দির নির্মানের রায় দেওয়া হয়। একইসঙ্গে মুসলিমদের জন্য় বিকল্প জমিও দেওয়া হয়।
আদালতের রায়ে একেবারেই সন্তুষ্ট নয় সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড। যদিও তারা আদালতে রিভিউ পিটিশন দায়ের করবে না। কিন্তু সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড কিছু না করলেও মুসলিম ল বোর্ড মোটেই বিষয়টিকে লঘু করে দেখতে নারাজ। জমিয়ত কার্যকারী সমিতি ১৪ই নভেম্বর পাঁচ সদস্যের একটি প্যানেল গঠন করেছিল, ওই প্যানেলে আইনি বিশেষজ্ঞ আর ধার্মিক মামলায় বিদ্যানদের যুক্ত করা হয়েছিল।
এর সমিতির গঠন দেশের সর্বোচ্চ আদালতের ৯ নভেম্বরের সিদ্ধান্ত এর প্রত্যেকটি দিক খতিয়ে দেখার জন্য করা হয়েছিল। জমিয়ত প্রধান মৌলানা আরশাদ মাদানীর নেতৃত্বে এই প্যানেল সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পুনর্বিচার আবেদনের সম্ভাবনা গুলো খতিয়ে দেখে আর এই প্যানেলই সিদ্ধান্ত নেয় যে, অযোধ্যা মামলায় পুনর্বিচার আবেদন দাখিল করা হবে কি না।
বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর, তবে যে রায় সুপ্রিম কোর্ট দিয়েছে সেই রায় অনুযায়ী আইন বিশেষজ্ঞদের দাবি অযোধ্যার যে জমিকে ভগবান শ্রীরাম চন্দ্রের জন্মভূমি বলে দাবি করে আসছে হিন্দুরা আসলে তা একটি বিশ্বাস যার মধ্যে কোনও ভণ্ডামি নেই আর এই নিয়ে মুসলমানরা কখনোই প্রশ্ন তোলেনি, তাই তো দেশের শীর্ষ আদালত রামলাল বিরাজ মারের পক্ষেই রায় দিয়েছে।