অন্নদাতা রূপে পুলিশঃ রাতে হটাৎ গৃহহীনদের খাবার পৌঁছে দিচ্ছে দিল্লী পুলিশ

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা ভাইরাসের (COVID-19) প্রভাব পড়েছে সর্বত্রই। ভারতে এখনও অবধি আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৭০০ এবং মৃত্যু হয়েছে ১৬ জনের। করোনা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য ভারতে লকডাউন ঘোষণা করেছে ভারত সরকার। এই অবস্থায় কিছু মানুষ অসুবিধায় পড়েছে। এই অবস্থায় লকডাউন অমান্য করে কিছু মানুষ রাস্তায় বেড়িয়ে পড়েছে। এই রাস্তায় বেরোন মানুষদের প্রতি কিছু পুলিশ অবিচার করলেও, আবার কিন্তু কিছু পুলিশ এই লকডাউনের সময় গরীব দুঃস্থ মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ফুটপাতবাসীদের কাছে রাজদূত হয়ে আসলেন দিল্লী (Delhi) পুলিশ এবং উত্তরপ্রদেশ (Uttarpradesh) পুলিশ।

police 222

রাস্তায় বসবাসকারী মানুষদের জন্য খাবার, স্যানেটাইজার এবং জল পৌঁছে দিল দিল্লী পুলিশ। এবং এই খাবার পৌঁছে দিল পুলিশরাই। অনেক মানুষ এক জায়গায় জমায়েত হওয়ার ভয়ে, আগে থাকতে খবর না দিয়ে হঠাৎ করেই তাঁরা পৌঁছে গেলেন বিভিন্ন দুঃস্থ মানুষদের কাছে। দিল্লীর পাশাপাশি ছত্রিশগড়ের বিলাশ পুরেও এই ঘটনা দেখা গেল। গরীবদের হাতে খাবারের সাথে সাথে মাস্ক এবং স্যানেটাইজার এবং প্রয়োজনীয় জিনিস তুলে দিল পুলিশ।

সুরাতেও দেখা গেল এই চিত্র। সুরাতের মহিধরপুরা থানার পুলিশ অস্থায়ী খাদ্যশালা খুলে গরীব, দুঃস্থ মানুষদের মধ্যে খাবার বিলি করলেন। তাঁদের কাছে পুলিশ এক অন্নদাতা রূপে আসীন হল। এমনকি গুরুগ্রামের এক ছাত্রীকে লকডাউন পরিস্থিতিতে আটকে পড়া থেকে উদ্ধার করল পুলিশ। ছাত্রীটি তাঁর পিজিতে আটকে গেছিল। লকডাউনের সময় ২৪ ঘন্টা যাবত কোন খাবার ছিল না তাঁর কাছে। তখন সে হেল্পলাইন নাম্বারে ফোন করলে, পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে তাঁর বাড়িতে পৌঁছে দেয়।

police 3333

বিহারেরে দিনমজুরদের কাছেও খাবার পৌঁছে দিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। তাঁরা ভগবানের দূত হিসাবে কাজ করল তাঁদের কাছে। কেরল থেকে ঝাঁসি হয়ে বারাণসী পৌঁছে ছিলেন ছাত্রাও এবং সমস্তিপুরের কয়েকজন দিনমজুর। কিন্তু বারাণসী পৌঁছে তাঁরা লকডাউনের ফলে আটকে যায়। সেখান থেকে তাঁরা রেললাইন ধরে হাঁটতে শুরু করলে চণ্ডৌলি পুলিশ তাঁদের কুচমান রেলস্টেশনে তাঁদের স্ক্রীনিং করে। এবং তাঁদের হাতে খাবার তুলে দেয়। এবং বর্তমানে তাঁদের বাড়িতে পৌছাবার ব্যবস্থা করে পুলিশ।

Avatar
Smita Hari

সম্পর্কিত খবর