U মানে UGLY পড়ানো ও পাশে দেওয়া কৃষ্ণাঙ্গের ছবি নিয়ে বিতর্ক, সাসপেন্ড হলেন ২ জন শিক্ষিকা

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ শিশুরা বাড়ি থেকে শিক্ষা পাওয়ার পর তাদের শিক্ষাগুরু হন স্কুলের শিক্ষক- শিক্ষিকারা। কিন্তু তারাই যদি ছাত্র- ছাত্রীদের ভুল শিক্ষা দেন তাহলে সবাই যাবে কোথায়? এমনই অভিযোগ উঠল দুই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমান (Burdwan) মিউনিসিপ্যাল গালর্স স্কুল।

জানা গিয়েছে, প্রাক-প্রাথমিকের ইংরেজি পাঠ্যবইয়ে U অক্ষরের পরিচিতির জন্য লেখা হয়েছে – UGLY, তার সঙ্গে এক কৃষ্ণাঙ্গ মানুষের মুখের ছবিও দেওয়া হয়েছে। শিশুদের পাঠ্যবইয়ে এ হেন ‘কুৎসিত’ ও ‘বর্ণবিদ্বেষী’ মানসিকতার প্রকাশ নিয়েই তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে। অভিভাবকদের অভিযোগ, পাঠ্যপুস্তকটি যেন শিগরই বাতিল করা হয়। শিশুদের এই ধরনের পাঠ্যদান সঠিক নয়। এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া প্রায় তোলপাড় হয়ে উঠেছে।  বাণী প্রকাশনী’র একটি ইংরেজি বই পড়ানো হচ্ছে এই স্কুলে। যে বইয়ে ইংরাজি শব্দ U-এর পরিচিতি হিসেবে আরও বেশ কয়েকটি শব্দের সঙ্গে রয়েছে UGLY, সঙ্গে দেওয়া কৃষ্ণাঙ্গের ছবি।

j 17

ঘটনার দিন তাঁর নাকতলার বাড়িতে সাংবাদিক বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee। তিনি বলেন, “আমরা খুবই স্তম্ভিত। প্রি-প্রাইমারিতে ইংরেজি শেখানোর নামে কী হচ্ছে? আমরা এই বিশ্বাসে বিশ্বাসী নই”। শিক্ষামন্ত্রী আরও জানান, “এটা সরকারি বই নয়। সরকারি ছাপাখানায় তা ছাপেনি। বইটি আমরা চাপিয়েও দিইনি। বাংলায় এই বই চলতে পারে না। সেটি যাতে বাংলার কোনও স্কুলে পড়ানো না হয় তার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে”। পার্থবাবু জানিয়েছেন, স্কুলের দুই শিক্ষক শ্রাবণী মল্লিক ও বর্ণালী রায়কে এ ঘটনার জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, লকডাউনের কারণে এক ছাত্রীর বাবা তাকে বইটি পড়াতে বসেছিলেন। সেখানেই তিনি দেখেন বিষয়টি। তিনি পেশায় অধ্যাপক। তিনি বলেন, ” এসব মানবিকতা বিরোধী পাঠ দেওয়া হচ্ছে। এসব মোটেই ঠিক নয়। শিশুদের মনের ওপর এর একটা চাপ পড়তে পারে।” তিনি বিষয়টি পূর্ব বর্ধমান জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক স্বপনকুমার দত্তকে জানান। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক তাঁকে জানান, এই বইটি সরকারি নয়। রেফারেন্স বই। তবে স্কুলের সঙ্গে কথা বলবেন বলে তিনি আশ্বাস দিয়েছিলেন।

সম্পর্কিত খবর