বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মে মাস থেকে পাকিস্তান (Pakistan) সৌদি আরব (Saudi Arabia) থেকে কাঁচা তেল পাচ্ছে না। এর সাথে সাথে সরবরাহকারীর তরফ থেকে ধারে তেল দেওয়া জারি রাখা নিয়ে পাকিস্তানকে এখনো কিছু বলা হয় নি। রিপোর্ট অনুযায়ী, দুই পক্ষের মধ্যে এই বাবদ ৩.২ বিলিয়ন ডলারের চুক্তির মেয়াদ দুই মাস আগেই সমাপ্ত হয়ে গেছে। দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনে শুক্রবার প্রকাশিত একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, সৌদি আরব নভেম্বর ২০১৮ তে পাকিস্তানের সমস্যা মেটাতে ৬.২ বিলিয়ন ডলারের প্যাকেজ ঘোষণা করেছিল।
সৌদি আরবের থেকে ৩.২ বিলিয়ন ডলারের কাঁচা তেলের সুবিধা এই প্যাকেজেরই অংশ ছিল। পাকিস্তান সৌদি আরব থেকে এই চুক্তিকে বাড়ানোর আবেদন করে, কিন্তু সেই নিয়ে সৌদি আরবের তরফ থেকে জবাব পাওয়া যায় নি। পেট্রোলিয়াম বিভাগের মুখপাত্র সাজিদ কাজি বলেন, এই চুক্তি মে মাসেই শেষ হয়ে গেছে। অর্থ বিভাগ এই চুক্তিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। উনি বলেন, পাকিস্তান সৌদি আরবের সরকারের কাছ থেকে এই চুক্তি নিয়ে জবাবের অপেক্ষা করছে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের অনুদান বিগত পাঁচ মাস ধরে স্থগিত আছে, আর এর মধ্যে পাকিস্তান আর সৌদি আরবের মধ্যে চলা চুক্তি স্থগিত হওয়ার ফলে দুই দিক থেকে চরম সমস্যার সন্মুখিন ইমরানের দেশ। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, সৌদি পাকিস্তানের থেকে ঋণের টাকা ফেরত নিতে এবং তেলের সুবিধার মেয়াদ সমাপ্ত হওয়ার কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের আধিকারিক মুদ্রা ভাণ্ডারের উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে। এই ভাণ্ডার ঋণ সংক্রান্ত বিশয়ের জন্যই বানানো হয়েছিল।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, পাকিস্তান সময়ের চার মাস আগেই সৌদি আরবকে এক বিলিয়ন ডলারের ঋণ শোধ করে দিয়েছে। মিডিয়া রিপোর্টস অনুযায়ী, চীনের থেকে ধার নিয়ে পাকিস্তান সৌদি আরবের ঋণ মিটিয়েছে। আর আগামী দিনে চীন যদি আরও ঋণ দেয়, তাহলে পাকিস্তান সৌদি আরবের আরও ঋণ শোধ করবে।