বাংলাহান্ট ডেস্কঃ আজ মহাসপ্তমী (Maha saptami), করোনা আবহের মধ্যেও জাকিয়ে চলছে বাঙালীর শ্রেষ্ঠ উৎসব দূর্গা পুজো (Durga puja)। সামাজিক দূরত্ব মেনে সকলেই মেতে উঠেছে পুজোর আনন্দে। বাড়ির পুজো থেকে শুরু করে সার্বজনীন, ঢাকের আওয়াজে, আলোর রোশনাইয়ে সেজে উঠেছে গোটা বাংলা।
তিথি- এবছর মহাসপ্তমী তিথি শুরু হচ্ছে ২২ শে অক্টোবর বৃহস্পতিবার দুপুর ১ টা বেজে ১১ মিনিট ৫৯ সেকেন্ডে। তিথির সময় শেষ হচ্ছে পরদিন অর্থাৎ ২৩ শে অক্টোবর শুক্রবার সকাল ১১ টা বেজে ৫৬ মিনিট ৬ সেকেন্ডে।
পুরাণ অনুযায়ী কৃষি প্রধান শস্য শ্যামলা বঙ্গ সমাজে শস্যদায়িনী ধরণী মাতার পুজোকে নব পত্রিকার পুজো বলা হয়। এই নব পত্রিকাই ‘কলাবউ’ নামে পরিচিত। ধারণা করা হয়, নবদূর্গার নয়টি রূপ অনুযায়ী নয়টি গাছের অংশ দিয়ে তৈরি হয় নবপত্রিকা।
এই বিশেষ নয়টি গাছ হল- কলা গাছ, কচু গাছ, হলুদ গাছ, মান গাছ, জয়ন্তী গাছ, বেল গাছ, ডালিম গাছ, অশোক গাছ এবং ধান গাছ।
মহা সপ্তমী তিথিতে নবপত্রিকার স্থান করানো অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। কোন পতিত জলাশয় বা পুকুর গঙ্গায় নবপত্রিকায় স্নান যাত্রা সম্পন্ন করা হয়। নবপত্রিকা স্নানের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণগুলি হল- তেল, হলুদ, পঞ্চরত্নের জল, পঞ্চশস্য, শিশির, পঞ্চ অমৃত, অষ্টকলস, পঞ্চ গব্য, পঞ্চ কষায়, সমুদ্রের জল, তীর্থের জল, আখের রস, ডাবের জল, বরাহদন্ত মৃত্তিকা, সর্বঔষধি, চতুষ্পদ মৃত্তিকা, পদ্মারেণু মহাঔষধি, চন্দন। সমস্ত উপকরণ সহযোগে স্নান যাত্রা সম্পন্ন করার পর নবপত্রিকাকে সিদ্ধিদাতা গণেশের পাশে অধিষ্ঠিত করা হয়।