বাংলাহান্ট ডেস্কঃ একুশের নির্বাচনের পূর্বে সমস্ত রাজনৈতিক দল নিজের মত করে এগোচ্ছে। একসময়কার সিপিএমের একছত্র আধিপত্য সংখ্যালঘু ভোট, আজকের দিনে তা তৃণমূলের ভোট ব্যাঙ্কে পরিণত হয়। তবে এরই মধ্যে বিহারে ৫ টি আসন লাভ করে বাংলাকে টার্গেট করে ফুরফুরা শরিফের আব্বাস সিদ্দিকির (abbas siqqiqui) সঙ্গে দেখা করতে গত রবিবার এখানে আসেন মিম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি।
আসাদউদ্দিন ওয়েইসিকে নিয়ে খুব একটা ইতিবাচক মনোভাব না দেখিয়ে সরাসরি ফুরফুরা শরিফের আব্বাস সিদ্দিকির বিষয়ে মন্তব্য করলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র (Surjya Kanta Mishra)। তাঁর মন্তব্যে বাম- কংগ্রেস জোটের সঙ্গে আব্বাসের মিলে যাওয়ার একটা গন্ধ পাওয়া গিয়েছে।
আব্বাস সিদ্দিকির কথায়, ‘ভারতের সংবিধান কখনই ধর্মের বিভাজনে পৃথক পৃথক দল গঠনের ক্ষেত্রে সম্মতি দেয় না। আমি সেরকম ধরণেরও মানুষ নই। আমি আদিবাসিদের জন্যও লড়ব, আবার গরীব হিন্দুদের জন্যও লড়ব। সকলের জন্যই করব’।
কিছুটা ক্ষোভের সঙ্গে আব্বাস সিদ্দিকি বলেন, ‘বামফ্রন্টের রাজত্বের দেখেছি, অনেক সময় অনেক পীরজাদা ধর্মীয় মঞ্চ থেকেই মুসলিম ভাইদের বামপন্থীর দিকে ঠেলে দিয়েছেন। আবার তৃণমূল এলে দেখেছি যাকে ঠেলে দেওয়া হয়েছিল, তাকেই আবারও হাত ধরে টেনে তুলে নিজের বলে ডেকে নিচ্ছেন সেই পীরজাদা। আমি ও ধোঁকাবাজি করতে পারব না। মানবতা এবং ইমানের সঙ্গে কাজ করি। দেশের ক্ষতি হয়, এমন কাজ করব না। সৎ মানুষের পাশে থেকে ন্যায়ের জন্য লড়াই করুন। দেশকে ভালোবাসাও কিন্তু ইসলাম ধর্মের এক শিক্ষা। তবে যারাই দেশের সঙ্গে বিরোধিতা করবে, তারাও কিন্তু ইসলাম বিরোধী’।
সিপিএমের উত্তর ২৪ পরগণার জেলা কমিটির বৈঠকে যোগ দিয়ে আব্বাস সিদ্দিকির প্রসঙ্গে সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, ‘উনি সবসময় ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সমস্ত মানুষের কথা বলেছেন। কখনই একটা ধর্মের বিষয়ে বলেননি। সবসময় নিপীড়িত মানুষের কথাই বলেছেন। যাকে এককথায় উত্তর ভারতে বহুজন বলা হয়’।