বাংলাহান্ট ডেস্ক: সোনারপুর দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের (tmc) হয়ে নির্বাচনে (election) লড়ছেন অভিনেত্রী লাভলি মৈত্র (lovely moitra)। প্রার্থী হিসাবে তাঁর নাম ঘোষনা হওয়ার পর থেকেই তুমুল বিতর্ক শুরু হয়। স্বামী হাওড়া গ্রামীণের পুলিস সুপার হওয়ায় লাভলির প্রার্থী হওয়া রুখতে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। পুলিস সুপারের পদ থেকে সরিয়ে অনির্বাচনী পদে বদলি করা হয় লাভলির স্বামীকে।
কিন্তু তাতেও দমেননি অভিনেত্রী। নিয়ম করে প্রচারের পাশাপাশি জোর গলায় বিজেপিকে আক্রমণ শানিয়েছেন লাভলি। তাঁর প্রচারেই চোখে পড়েছিল অভিনবত্ব। এবার একই রকম ভাবে অভিনব উপায়ে মনোনয়নও জমা দিলেন তিনি।
‘খেলা হবে’ লেখা ক্রিকেট ব্যাট হাতে, সবুজ সাথী সাইকেলে চড়ে মনোনয়ন জমা দিতে যান লাভলি। বারুইপুর আদালত থেকে বারুইপুর মহকুমা শাসকের অফিস পর্যন্ত পুরো রাস্তাটাই সাইকেল চালিয়ে যান তিনি। ‘খেলা হবে’র তালে পা মিলিয়ে চুটিয়ে নাচতেও দেখা যায় লাভলিকে।
এদিন তাঁর মনোনয়ন জমা দেওয়াকে ঘিরে দলের কর্মী সমর্থকদের উচ্ছ্বাস দেখে আপ্লুত লাভলি। তাঁর কথায়, “দলের এত কর্মী সমর্থকদের ভালবাসা ও সম্মানে আমি অভিভূত। আজ আমার জীবনের অন্যতম স্মরণীয় দিন। এত মানুষের ভালবাসা পাচ্ছি, আমার জয়ের ব্যাপারে আমি নিশ্চিত।”
প্রচারে নেমে প্রথমে স্থানীয় বিপত্তারিণী মন্দিরে পুজো দেন অভিনেত্রী। তারপর দলের কর্মী সমর্থক ও স্থানীয় মানুষজনদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। লাভলি বলেন, তিনি ঘরের মেয়ে। এতদিন টিভির পর্দায় দেখা যেত তাঁকে। এবার তিনি সামনাসামনি সবার জন্য কাজ করবেন।
লাভলি আরো বলেন, তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একজন সৈনিক। তৃণমূলের যে ২৯৪টি আসন, সব আসনের প্রার্থী একজনই, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁরা আলাদা আলাদা কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছেন ঠিকই। কিন্তু আসলে সকলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই ভোটটা দেবেন।
অভিনেত্রী এদিন বলেন, বিজেপি বাংলার মহিলাদের অসম্মান করেছে। শিল্পীদের অসম্মান করেছে। তার প্রতিবাদেই তিনি সক্রিয় রাজনীতিতে এসেছেন। পাশাপাশি যে সমস্ত অভিনেতা অভিনেত্রীরা বিজেপিতে গিয়েছেন তাদের ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলে কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি লাভলি।