বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একেই বোধহয় বলে রবিবারে ‘রবি’স্মরন। আজ সপ্তাহের শেষ দিনে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬০ তম জন্মবার্ষিকী পালনের আয়োজন করেছিল রাজ্য সরকার। যদিও কোভিডের ভয়াবহতার কথা মাথায় রেখে পুরো অনুষ্ঠানটিই ছিল ভার্চুয়াল। তবে আলোর ঝলকানি না থাকলেও, আন্তরিক শ্রদ্ধার অভাব ছিল না আজকের অনুষ্ঠানে। গতবছরের পর এবছর হয়তো অনেকেই ভেবেছিলেন ঝলমলে অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে আরো একবার পালিত হবে রবীন্দ্রজয়ন্তী। কিন্তু গত বছরের মতোই এবছরও বাদ সাধল কোভিড। বিশেষত এবার তার ভয়াবহতা আরো অনেক বেশি।
আসি কথা মাথায় রেখেই ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানেই গলা মেলালেন বিশিষ্টজনেরা। অন্তরের শ্রদ্ধায় আপাত জৌলুসহীন অনুষ্ঠান হয়ে উঠলো যথেষ্ট মনমুগ্ধকর। বাড়িতে বসেই রবি ঠাকুরের গানে তাকে স্মরণ করলেন শিল্পী নচিকেতা, লোপামুদ্রা মিত্র, অদিতি মুন্সি, সৌমিত্র রায়, অরুন্ধতী রায়রা। বিশ্বকবির কবিতা পাঠ করলেন বিশিষ্ট কবি জয় গোস্বামীও।
এদিন সকালেই স্যোশাল মিডিয়ায় কবিগুরুকে শ্রদ্ধা জানিয়ে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে গিয়ে রবীন্দ্রনাথের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করেন ফিরহাদ হাকিম। সে অর্থে অবশ্য মুখ্যমন্ত্রীর সশরীরে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন রবীন্দ্রসদনের এই সরকারি অনুষ্ঠানেই। এদিন বিকেল চারটে নাগাদ রবীন্দ্রসদনে পৌঁছান মমতা। সঙ্গে ছিলেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, স্বরাষ্ট্রসচিব এইচ কে দ্বিবেদী, কলকাতার পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র এবং ইন্দ্রনীল সেন। শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে রবীন্দ্রনাথের প্রতিমূর্তির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন প্রত্যেকেই। তবে আজ অবশ্যই সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি ছিল মুখ্যমন্ত্রীর আবেগি বক্তৃতা এবং গান। শুধুমাত্র করোনার কারণেই এভাবে রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন করতে হচ্ছে। নিজের বক্তব্যে অন্যান্য স্মৃতিরোমন্থনের সাথে আক্ষেপও প্রকাশ করেন মমতা। এরপর বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী ইন্দ্রনীল সেনের সঙ্গে ‘আলোকের এই ঝর্ণাধারায়’ গানে গলাও মেলান মুখ্যমন্ত্রী। সামান্যই গাইলেন তিনি। তবে সব মিলিয়ে আজকের এই অনুষ্ঠান ছিল সত্যিই মনকাড়া।
‘ভারত আজ পর্যন্ত অলিম্পিকে সোনা পায়নি …’ ভরা মঞ্চে বেফাঁস মমতা