মিষ্টির দোকানের আড়ালে চলছিল ফলের ব্যাবসা, হাতেনাতে ধরল পুলিশ

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কোভিডের শৃঙ্খল ভাঙবার জন্য ইতিমধ্যেই রাজ্যে জারি হয়েছে সম্পূর্ণ লকডাউন। ১৫ মে থেকে জারি সম্পূর্ণ লকডাউনে বেশ কিছু নিয়ম বেঁধে দিয়েছে রাজ্য। যার প্রভাব ইতিমধ্যেই দেখা গিয়েছে নতুন সংক্রমিতদের সংখ্যাও। মাঝে বেশ কয়েকদিন কুড়ি হাজার ছাড়ালেও লকডাউনের পর থেকেই সংক্রমিত সংখ্যা বেশ কিছুটা কমতে শুরু করেছে রাজ্যে। রাজ্য সরকার জানিয়েছে, এই মুহূর্তে বাজার খোলা রাখা যাবে কেবল সকাল সাতটা থেকে দশটা অবধি। ছোটখাটো দোকানের ক্ষেত্রেও নিয়মটা একি। যদিও এরই মধ্যে কিছুটা রেহাই পেয়েছে মিষ্টির দোকান গুলি। সরকারের তরফে দশটা থেকে পাঁচটা অবধি মিষ্টির দোকান খোলা রাখার অনুমতি মিলেছে। আর সেই সূত্র ধরেই এবার আইন ভেঙে পুলিশের হাতে আটক হলেন এক ব্যবসায়ী। জানা গিয়েছে মিষ্টির দোকানের আড়ালে আসলে ফল বিক্রি করছিলেন তিনি।

লকডাউনের নিয়ম অনুযায়ী ফলের দোকান বন্ধ হয়ে যাবার কথা সকাল দশটাতেই। কিন্তু সময় পার হয়ে যাবার পরেও সকলের চোখের আড়ালে ফলের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিলেন চোপড়া ব্লকের কাঁচাকালী বাজারের ওই দোকানদার। লকডাউনের নির্দেশকে সম্পূর্ন অমান্য করে এভাবে ব্যাবসা চালানোয় আজ চতুর্থ দিনে ওই ব্যবসায়ীকে আটক করে চোপড়া থানার পুলিশ। প্রথমবারের লকডাউনের মতই এবারও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে চোখে পড়েছে পুলিশি তৎপরতার ছবি। কোথাও আইন অমান্য করায় কান ধরে ওঠবোস করিয়েছে পুলিশ। কোথাও বা পড়েছে লাঠির ঘা।

কলকাতা শহরের বিভিন্ন এলাকাতেও চলছে নাকা চেকিং। বিনা কারনে কেউ রাস্তায় বেরোলেই পড়তে হচ্ছে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের মুখে। ব্যাক্তিগত যানবাহনের ক্ষেত্রেও রয়েছে যথেষ্ট কড়াকড়ি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, লকডাউনের জেরে বেশ কিছুটা কমেছে সংক্রমন। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী , গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করােনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৯ হাজার ৪২৮ জন । গত ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৪৫ জনের। মৃত্যুর সংখ্যা চিন্তা বাড়ালেও সংক্রমন কমেছে কিছুটা। আর তাই এই মুহূর্তে সচেতনভাবে কোভিড-বিধি পালন একান্ত জরুরি।

 

Abhirup Das

সম্পর্কিত খবর