বাংলাহান্ট ডেস্কঃ পেগাসাস ইস্যুতে সরগরম রাজনৈতিক মহল। পেগাসাস ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (mamata banerjee) পথই অনুসরণ করলেন বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (anubrata mandal)। ফোনের ক্যামেরা ঢেকে দিলেন সেলোটেপ দিয়ে। ঠিক যেরকমটা দেখা গিয়েছিল, ২১ শে জুলাই শহীদ স্মরণের মঞ্চে নিজের ফোনের ক্যামেরা সেলোটেপ দিয়ে ঢেকেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ঠিক তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত করেই এবার পেগাসাস রুখতে পদক্ষেপ নিলেন অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর ফোনের ক্যামেরাতেও দেখা গেল সেলোটেপ জড়ানো। বিগত কয়েকদিন ধরে এই পেগাসাস ইস্যুতে বেশ সরগরম রয়েছে রাজনৈতিক মহল।
এদিন বোলপুরের দলীয় কার্যালয়ে দেখা যায় বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে, যেখানেই তাঁর ফোনের ক্যামেরা সেলোটেপ দিয়ে ঢাকা ছিল। এদিন এই দলীয় কার্যালয়ে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরে আসেন গেরুয়া শিবিরের কয়েকশো কর্মী সমর্থক। তাঁদের হাতেই দলীয় পতাকা তুলে দেন অনুব্রত মণ্ডল।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পুর্বে বিজেপির বাংলা জয়ের অংশীদার হতে বিরাট সংখ্যক তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা ঘাসফুল ছেড়ে পদ্ম শিবিরের সৈনিক হয়েছিলেন। কিন্তু নির্বাচনে বিজেপির বাংলা জয়ের স্বপ্ন ধূলিস্মাৎ হয়ে যায়। বাংলার ক্ষমতায় আবারও এককভাবে ফিরে আসে তৃণমূল। তারপর থেকে দেখা যায়, বেশকিছু দলবদলুরা আবারও ফিরে আসছেন নিজেদের পুরনো আশ্রয়ে।
তবে ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের পরে বোলপুরের সিঙ্গি গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশ কিছু গ্রামের নেতা-কর্মীরা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপির পতাকা হাতে নিয়েছিলেন। কিন্তু বর্তমানে বিজেপির পরাজয়ের পর তাঁরা আবারও ফিরে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশ্রয়ে। আর তাঁদের হাতেই দলীয় পতাকা তুলে দিয়ে দলে নতুন করে স্বাগত জানালেন অনুব্রত মণ্ডল।