বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আফগানিস্তানে তালিবান ক্ষমতায় আসার পর থেকেই পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হতে শুরু করেছে ভারতের জন্য। একদিকে যেমন আফগানিস্তানে ভারতের করা বড় বিনিয়োগ এখন সমস্যার মুখে, অন্যদিকে কাশ্মীর নিয়েও কথা বলতে শুরু করেছে তালিবান। কার্যত এক্ষেত্রে লাল নিশান দেখাতে শুরু করেছে তারা। তাই ভারতের সমস্যা যে বাড়ছে এ নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। আর তাই এবার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
সোমবার নিজের বাসভবনেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও ‘সুপারস্পাই’ অজিত ডোভাল, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ও সেনাসর্বাধিনায়ক জেনারেল বিপিন রাওয়াতদের বৈঠক করেন তিনি। সূত্রের খবর অনুযায়ী,, বর্তমান পরিস্থিতিতে আফগানিস্তানে যে ৩৪ টি প্রদেশ দেড় বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে ভারত তা কি করে রক্ষা করা যায় এবং আফগানিস্তান থেকে ভারতে যেন নতুন কোনও সন্ত্রাস তৈরি না হয় তা কিভাবে নিশ্চিত করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে এই বৈঠকে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এর আগেও সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। আফগানিস্তান সম্পর্কে ভারতের কি নীতি গ্রহণ করা উচিত তা নিয়েও আলোচনা হয়েছিল সেই বৈঠকে। তার আগে বিদেশমন্ত্রককে আফগানিস্তান সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য দেবার জন্যও জানিয়েছিলেন তিনি। ১৫ আগস্ট আফগানিস্তানে প্রায় ২০ বছর বাদে ক্ষমতায় ফিরেছে তালিবান। শুরু থেকেই তারা জানিয়ে রেখেছে পাকিস্তান বিরোধী কোন কাজ তাদের মাটিতে করতে দেবে না তারা। অন্যদিকে তারা এও জানিয়েছে কাশ্মীর ভারত পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার, সে বিষয়ে তারা তেমন হস্তক্ষেপ করবে না। কিন্তু তার পরেও জেহাদী গোষ্ঠীটি কথা চালাচ্ছে কাশ্মীর প্রসঙ্গে।
আর তাই ভারতের এখন আগামী রণনীতি কি হবে, সেটাই হলো সবথেকে বড় বিষয়। এই মুহূর্তে আফগানিস্তানের প্রায় চারশোটিরও বেশি প্রকল্প রয়েছে ভারতের। যদিও তালিবান আশ্বাস দিয়েছে, এই প্রকল্পগুলির কোন ক্ষতি চায় না তারা। কিন্তু ইতিমধ্যেই আফগানিস্তানে নিজেদের ক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা করছে চীন। আগামী দিনে কার্যত চীন যদি আফগানিস্তানে নিজেদের খাঁটি শক্ত করে সেক্ষেত্রে পূর্ব লাদাখ সহ সীমান্ত এলাকায় যে কোনরকম নতুন সমস্যা উৎপন্ন হবে না তা নিশ্চিত করে বলা যায় না। আর সেই কারণেই এখন উদ্বিগ্ন ভারত।