বাংলাহান্ট ডেস্ক: মাদক কাণ্ডে এখনো ছাড় মেলেনি আরিয়ান খানের (aryan khan)। সোমবার আদালতে তোলা হলে তাঁর জামিন খারিজ করে দেওয়া হয়। আগামী ৭ অক্টোবর পর্যন্ত NCB র হেফাজতেই থাকতে হবে তাঁকে। এরই মাঝে গ্রেফতার হয়েছেন শাহরুখ পুত্রের মাদক সরবরাহকারী শ্রেয়স নায়ার। অরিয়ান ও তাঁর ধৃত আরো দুই সঙ্গীর ফোনের চ্যাট থেকেই শ্রেয়সের নাম পেয়েছে তদন্তকারীরা।
আরিয়ান ও তাঁর বন্ধু আরবাজ শেঠ মার্চেন্টের ফোনের কথোপকথন থেকে শ্রেয়সের নাম খুঁজে পায় NCB র তদন্তকারীরা। জানা যাচ্ছে এই শ্রেয়সই নাকি আরিয়ানদের নিষিদ্ধ মাদক এম ডি পিল সরবরাহ করত। আরিয়ানের মোবাইল ফোন থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী তাঁর সঙ্গে আন্তর্জাতিক মাদক চক্রের যোগও থাকতে পারে বলে সন্দেহ করছে NCB।
আগামী ৭ অক্টোবর পর্যন্ত NCB হেফাজতেই থাকতে হবে তাঁকে। গ্রেফতারের পর NCB র তরফে বলা হয়েছিল একদিন মাত্র আরিয়ানকে নিজেদের হেফাজতে রাখবে তারা। কিন্তু এরপরেই আরিয়ানের বাজেয়াপ্ত করা মোবাইল ফোন থেকে একাধিক প্রমাণ পাওয়া যায়। সে কারণে সোমবার সকালেই শোনা গিয়েছিল আরো কিছুদিনের জন্য আরিয়ানকে নিজেদের হেফাজতে রাখার আবেদন করতে পারে NCB।
শনিবার মধ্যরাতে একটি বিলাসবহুল ক্রুজ থেকে হাতেনাতে পাকড়াও করা হয় কিং খান পুত্র সহ ১০ জনকে। টানা ১৬ ঘন্টা জেরার পর আরিয়ান সহ আরো দুজনকে মাদক সেবনের অভিযোগে গ্রেফতার করে নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো।
জেরায় আরিয়ান মাদক সেবনের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন বলেও দাবি করা হয়েছে NCB র তরফে।
ক্রুজ থেকে ১৩ গ্রাম কোকেন, ৫ গ্রাম এমডি, ২১ গ্রাম চরস, ২২ টি এমডিএমএ পিলস এবং নগদ ১ লক্ষ ৩৩ হাজার টাকা উদ্ধার হয়েছে। ক্রুজে উপস্থিত মেয়েদের স্যানিটারি প্যাডের মধ্যে, ওষুধের বাক্সে, পোশাক এমনকি অন্তর্বাসের সেলাইয়ের মধ্যেও মাদক লুকনো ছিল। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এনডিপিএস অ্যাক্ট আইনের আওতায় সেকশন ৮(সি), ২০(বি), ২৭ ও ৩৫ ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে।