বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সরকারি টেন্ডার পাওয়ার ক্ষেত্রে এতদিন পর্যন্ত সবচেয়ে কম দরপত্রকেই সবথেকে বেশি মূল্য দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ কতটা সাশ্রয়ী ভাবে কাজটি করানো যায় সেটাই ছিল সরকারের প্রধান লক্ষ্য। কিন্তু এক্ষেত্রে পরবর্তীকালে নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে প্রকল্পের গুণমান নিয়ে। অর্থাৎ সস্তায় কাজ করতে গিয়ে গুণমানের ঘাটতি দেখা গিয়েছে। আর সেই কারণেই বড় সিদ্ধান্ত নিল মোদি সরকার। প্রচলিত এল১ নিয়মে একটি সংশোধনের মাধ্যমে জানানো হয়েছে এবার থেকে গুণমানের উপরেও একই রকম মূল্য দেওয়া হবে।
শুধুমাত্র টেন্ডার কতটা কম দর দিচ্ছে সে দিকেই নজর দেওয়া হবে না, একইসঙ্গে কাজের গুণমানের উপরেও নজর দেওয়া হবে। করদাতাদের প্রদত্ত কর যাতে সঠিকভাবে ব্যবহৃত হয় সেই কারণে এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত জরুরী। আর সেই কারণেই সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশন (সিভিসি), কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি) এবং NITI আয়োগ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট প্রকল্প ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত পদ্ধতি এবং নিয়মগুলির বিশদে বিশ্লেষণ করার পর এই নতুন সিদ্ধান্ত লাগু করেছে।
সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, প্রথাগত L1 সিস্টেমের বিকল্প হিসেবে এবার থেকে কোয়ালিটি কাম কস্ট বেসড সিলেকশনের উপরেও একই রকম জোর দেওয়া হবে। যা প্রকল্প গুলির গতি এবং গুণমান আরও বেশি উন্নত করবে বলেই ধারণা সরকারের। উল্লেখ্য গত ২৯ অক্টোবর অর্থসচিব ড. টিভি সোমানাথন পাবলিক প্রকিউরমেন্ট এবং প্রকল্প ব্যবস্থাপনায় সংস্কারের জন্য নির্দেশিকা জারি করেছিলেন। সেই সূত্র ধরেই এই সংস্কারের পথে হেঁটেছে সরকার।
প্রত্যেকটি প্রকল্পের অগ্রগতির ক্ষেত্রে ইলেকট্রনিক রেকর্ডিং রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে অন্যান্য আইটি ভিত্তিক সমাধানগুলিও ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সরকারের আশা, এই সংস্কার লাগু হলে একদিকে যেমন কনট্রাক্টরদের সময় মত পেমেন্ট দিতে সুবিধা হবে তেমনি প্রকল্পটিও স্বচ্ছ এবং সঠিক গুনমানসম্পন্ন হবে।