জোট করার আলোচনার মধ্যেই আগামী সঙ্গী দলের নেতা ভাঙাল তৃণমূল, চটল বন্ধু দল

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ইদানিং দেশজুড়ে তৃণমূলে (All India Trinamool Congress) যোগ হিড়িক পড়ে গিয়েছে। বাংলার কথা বাদই দিলাম সুদূর ত্রিপুরা, গোয়া, অসম এমনকি উত্তর প্রদেশেও এখন তৃণমূলের পতাকা উড়ছে। ত্রিপুরা থেকে বিজেপির নেতারা ধীরে ধীরে তৃণমূলে ঘেঁষছে। অসমে কংগ্রেসের নেত্রী সুস্মিতা দেব তৃণমূলে নাম লিখিয়েছেন। গোয়াতে প্রাক্তন টেনিস তারকা লিয়েন্ডার পেজ ও গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফেলারিও তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। পাশাপাশি উত্তর প্রদেশের সমাজবাদী পার্টির এক নেতা বাংলায় এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন।

একদিকে তৃণমূল যেমন বাড়ছে, তেমনই তৃণমূলের সঙ্গে জোট করা বা তৃণমূলের সঙ্গে চলার কথা বলা দলগুলোর শক্তি তেমন খর্ব হচ্ছে। আর সেই শক্তি খর্ব করছে খোদ তৃণমূল! এমনটাই অভিযোগ তৃণমূলের সঙ্গে জোট নিয়ে কথাবার্তা চলা দলের। গোয়াতে এই অভিযোগ ওঠার পর তৃণমূলের সঙ্গে জোট নিয়ে কথাবার্তা চলা গোয়া ফরোয়ার্ড পার্টি (GFP) বেশ ক্ষুব্ধ হয়েছে।

শনিবার GFP-র কার্যকরী সভাপতি কিরণ কান্ডেলকর তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। এমনকি ওনার স্ত্রীও তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রর থেকে জোড়াফুলের পতাকা তুলে নিয়েছেন। আর এই ঘটনা সামনে আসার পর ক্ষোভ প্রকাশ করেছে তৃণমূলের সঙ্গে জোট নিয়ে কথা চলা গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টি। GFP-র প্রধান বিজয় সরদেশাই অভিযোগ করে বলেছেন যে, ‘কিরণ দল ছাড়ছেন, সেটা আমরা টেরই পাইনি। এটা আমাদের কাছে বেশ শকিং। আমাদের সঙ্গে তৃণমূলের জোট হওয়া নিয়ে আলোচনা চলছিল। আর সেই আলোচনার মাঝেই তৃণমূল যা করল, তা অত্যন্ত নিম্ন রুচির।”

vijay
বিজয় সরদেশাই

তবে শুধু GFP’ই নয়, তৃণমূলের বিরুদ্ধে দল ভাঙানোর অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেসও। যেই কংগ্রেসের সঙ্গে হাতে হাত রেখে চব্বিশের নির্বাচনে লড়ার ইঙ্গিত দিয়েছিল তৃণমূল, এখন সেই কংগ্রেসেরই একাধিক নেতা-নেত্রীকে দলে নিয়ে নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি করছে তাঁরা। এমনকি তৃণমূল এখন কংগ্রেসকে ঠুঁটো দল বলেও খোঁচা মারছে। এখন দেখার বিষয় এটাই যে, আগামী দিনে তৃণমূলের এমন মনোভাবের ফলে তাঁদের সঙ্গে কেউ জোটে আসে কী না।

Koushik Dutta

সম্পর্কিত খবর