বাংলাহান্ট ডেস্ক: দেশের এক নক্ষত্র হারিয়ে গিয়েছে রবিবার। প্রয়াত হয়েছেন গায়িকা লতা মঙ্গেশকর। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন আরো এক বর্ষীয়ান গায়িকা সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় (sandhya mukhopadhyay)। পদ্মশ্রী পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করার পরেই আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। হাসপাতালে ভর্তি করা হলে জানা যায় তিনি করোনা আক্রান্ত।
তবে এবার গায়িকার স্বাস্থ্য নিয়ে সুখবর জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওমিক্রন ধরা পড়েছিল বর্ষীয়ান গায়িকার। তবে এখন তিনি করোনা মুক্ত বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। এমনিতে তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল, তবে সঙ্কট এখনো কাটেনি বলেই জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গত ২৩ জানুয়ারি বাথরুমে পড়ে গিয়েছিলে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়পাধ্যায়। তারপর থেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। শরীরে ব্যথা অনুভব করছিলেন তিনি। ২৬ জানুয়ারি সন্ধ্যা থেকে গায়িকার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। শ্বাসকষ্টের সমস্যার কথা জানান গায়িকা। তাঁর ফুসফুসে সংক্রমণ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। রয়েছে জ্বর। হয়েছে আরটিপিসিআর পরীক্ষা।
গত ২৬ জানুয়ারি দুপুরে গ্রিন করিডর করে এস এস কে এম হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, সে সময়ে তন্দ্রাচ্ছন্ন অবস্থায় ছিলেন তিনি। উডবার্ন ব্লকে রাখা হয়েছে গায়িকাকে। চিকিৎসক সোমনাথ কুণ্ডুর নেতৃত্বে একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। সেখানে রয়েছে কার্ডিওলজিস্ট, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ। তারপর থেকেই নিয়মিত গায়িকার খোঁজখবর নিতেন মুখ্যমন্ত্রী।
প্রতি বছর প্রজাতন্ত্র দিবসের আগের দিনই পদ্ম পুরস্কার প্রাপকদের তালিকা ঘোষনা করা হয় কেন্দ্রের তরফে। এ বছরও তার অন্যথা হয়নি। পদ্মশ্রী পুরস্কার প্রাপকদের তালিকায় নাম ছিল বর্ষীয়ান শিল্পী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের। কিন্তু সে সম্মান ফিরিয়ে দেন গীতশ্রী।
সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, ২৫ জানুয়ারির সন্ধ্যায় গায়িকার বাড়িতে ফোন এসেছিল দিল্লি থেকে। নিয়ম মেনে পুরস্কার প্রাপকদের কাছে অনুমতি চাইতেই করা হয়েছিল ফোন। কিন্তু কথা শেষ হওয়ার আগেই সবিনয়ে পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেন গীতশ্রী। নব্বই ছুঁয়েছে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের বয়স। সারা জীবন একনিষ্ঠ ভাবে সঙ্গীতের সাধনাই করে এসেছেন তিনি।