বাংলাহান্ট ডেস্ক : উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষ্যে বারাণসীতে সমাজবাদী পার্টির হয়ে প্রচার সারছেন মমতা। গতকালই কলকাতা থেকে পূণ্যভূমি বারাণসীতে উড়ে গেছেন তিনি। এবার নির্বাচনের মঞ্চ থেকে অখিল যাদবকে পাশে নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে রীতিমতো হুঙ্কার ছাড়তে দেখা গেল তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। পুষ্পার স্টাইলেই স্পষ্টতই জানালেন ‘যোগিজী, ম্যায় কাভি ঝুকা নেহি’।
এদিন যোগী গড়ে দাঁড়িয়ে মমতা একের পর এক তোপ দাগেন যোগী সরকার থেকে শুরু করে নরেন্দ্র মোদী সকলকে লক্ষ্য করেই। রনংদেহি মূর্তিতে গতকাল বিকেলে দশাশ্বমেধ ঘাটে তাঁর গাড়িকে ঘিরে বিজেপির বিক্ষোভের প্রসঙ্গ টেনে এনেও কড়া নিন্দা করতে দেখা যায় তাঁকে। মমতা বলেন, ‘কাল কয়েকজন বিজেপি কর্মী আমার গাড়ি আটকেছিল। আমার গাড়িতে ধাক্কা মেরেছিল। আমাকে বলেছিল ফিরে যান। তখনই আমি বুঝেছি ওরা বিদায় হচ্ছে। ওদের হার নিশ্চিত। আমি ভয় পাই না। আমি লড়তে জানি। সিপিএম আমাকে অনেক মেরেছে। গুলি চালিয়েছে। আমি মাথা নত করিনি। বিজেপি হারছে। এই মেসেজ খুব স্পষ্ট। আমাকে ভয় পেলে একবার নয়, হাজারবার আসব।’
বিজেপির জয় শ্রীরাম স্লোগানেরও তুলোধনা করেছেন তিনি। তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, ‘কাল আমাকে যেভাবে অপমান করা হয়েছে এর উত্তর মা বোনরা দেবেন। বিজেপি নেতারা জয় শ্রীরাম স্লোগান দেন। কিন্যু কখনও মা সীতার নাম মুখে আনেন না।’
এদিন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকেও কার্যতই সোজাসুজি আক্রমণ হানেন মমতা। তাঁর কথায়, আমাকে গুন্ডাগিরি দেখাবেন না যোগীজি। আপনি বড় সন্ন্যাসী সাজেন। সন্ন্যাসী তাঁরাই যাঁদের সম্মান থাকে। আপনি সন্ন্যাসী নন। আপনি সন্ন্যাসীদের অপমান করছেন।’ ‘আপনি নামে যোগী কাজে ভোগী’ একথা বলেই কটাক্ষ করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, এই নিয়ে দ্বিতীয়বার অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টির হয়ে প্রচারে নামলেন মমতা। গত ৮ ফেব্রুয়ারি লখনউতে প্রচারে গিয়ে ভার্চুয়াল সভা সারলেও এবার খোদ নরেন্দ্র মোদীর সাংসদীয় কেন্দ্রেই প্রচারে গেলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। বিভিন্ন ইস্যুতে বিজেপিকে কার্যতই ল্যাজেগোবরে করে রাজ্যবাসীকে অখিলেশের পাশে থাকার অনুরোধ জানান তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘অখিলশ যাদব আপনাদের ঘরের ছেলে। বিজেপিক হারাতে জোটকে ভোট দিন। এবার উত্তরপ্রদেশে বিজেপি হারলে দেশ থেকে ২০২৪ এ বিজেপি সরানো যাবে।’ ক্রমশই বিজেপি বিরোধী মুখ হিসেবে জাতীয় স্তরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার বারাণসীতে দাঁড়িয়ে তাঁর বিজেপির বিরুদ্ধে এই হুঙ্কার যে কার্যতই বেশ ভালোই প্রভাব ফেলবে সেই জনপ্রিয়তা বৃদ্ধিতে তেমনটাই মত পর্যবেক্ষক মহলের একাংশের।