বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ছোট্ট কচি-কাচাদের কাছে কুকুর একটি প্রিয় প্রাণী। রাস্তাঘাটে মাঝেমধ্যেই কুকুরের সাথে ছোট ছেলে-মেয়েদের খুনসুটির দৃশ্য সকলের চোখে পড়ে। তবে সেই কুকুরের দল খেলার পরিবর্তে যদি আক্রমন করে বসে, তবে পরিস্থিতি ভয়ংকর হয়ে উঠতে বাধ্য! এমনই এক ঘটনা ঘটলো লখনউ জেলার ঠাকুরগঞ্জ-র মুসাহিবগঞ্জ এলাকায়। বুধবার সন্ধ্যায় এলাকার বুকে কুকুরের হামলায় মৃত্যু হয় এক বালকের। জানা গিয়েছে, বোনকে বাঁচানোর জন্য শেষ পর্যন্ত কুকুরের আক্রমণে প্রাণ যায় তাঁর।
প্রতিদিনের মতো সন্ধ্যাবেলা বাড়ির বাইরে বের হয় মহম্মদ হায়দার নামের এক বালক। সঙ্গে ছিল তার বোন জান্নাত। এরপর রাস্তার ধারে যখন তারা নিজেদের মধ্যে খেলায় ব্যস্ত ছিলো, ঠিক সেই সময় সেখানে হাজির হয় একদল কুকুর। সেই দলে ছিলো প্রায় কুড়িটিরও বেশি কুকুর। এবং হঠাৎ কিছু বুঝে ওঠার আগেই দুই ভাই বোনের ওপর হামলা করে বসে কুকুরের সেই দলটি। এই অবস্থায় চারদিক থেকে কুকুরগুলি তাদের ঘিরে ফেলায় পালানোর কোন সুযোগই ছিল না তাদের কাছে। কিন্তু নিজের পাঁচ বছরের বোনকে বাঁচানোর জন্য সেই মুহূর্তে আপ্রাণ চেষ্টা করতে থাকে মহম্মদ। নিজের প্রাণের ঝুঁকি নিয়েও শেষ পর্যন্ত বোনকে বাঁচানোর জন্য বদ্ধপরিকর থাকে সেই আট বছরের বালক।
এরপর শিশুদের চিৎকারের আওয়াজ শুনে সেখানে পাড়া প্রতিবেশীরা ছুটে আসে। কিন্তু ততক্ষণে কুকুরদের হামলায় ভাই-বোনকে গুরুতর জখম। তাদের উদ্ধার করে এক মুহূর্ত দেরি না করে হায়দার ও জান্নাতকে স্থানীয় ব্যক্তিরা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে ছোট্ট মেয়েটি প্রাণে বেঁচে গেলেও মহম্মদকে মৃত বলে ঘোষণা করে চিকিৎসকরা।
স্বভাবতই, এই ঘটনার পর এলাকায় বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয় বাসিন্দারা। তারা বলে যে, এলাকায় কুকুরদের দাপাদাপির ঘটনায় এর আগেও পৌরনিগমের তারা একাধিক বার অভিযোগ জানায়। কিন্তু একাধিক বার বলা সত্ত্বেও কোনো পদক্ষেপ নেয়নি তারা। প্রসঙ্গত, এর আগে একাধিকবার কুকুরদের হামলার মুখে পরে স্থানীয়রা। তবে এই ঘটনার পর পৌরনিগমের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে স্থানীয় থানায় মামলা দায়ের করেন মৃতের পরিবার।