বাংলাহান্ট ডেস্ক : লাউডস্পিকার নিয়ে বিতর্ক ক্রমাগত বেড়েই চলেছে মহারাষ্ট্রে। মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা প্রধান রাজ ঠাকরে একটি খোলা চিঠি লেখার পর যে আরও ঘৃতাহুতি হয়েছে বিষয়টিতে। এই চিঠিতে রাজ ঠাকরের দাবি, বুধবার থেকে কোনও মসজিদে যদি লাউডস্পিকারে আজান বাজানোর হয় তাহলে তিনি সেখানে একই ভাবে হনুমান চালিসা পাঠ করবেন। আর এর প্রেক্ষিতেই আগাম সতর্ক হয়ে ধর্মীয় স্থানগুলির পাশাপাশি রাজ ঠাকরের বাড়ির সামনেও কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে মহারাষ্ট্র সরকার। সেই সঙ্গে লাউডস্পিকার বিতর্কের জেরে আটক করা হয়েছে দুশোরও বেশি নবনির্মান সেনা কর্মীকে।
প্রসঙ্গত বুধবার মুম্বাইয়ের চারকোপ এলাকায় সকাল ৫টার নামাজের সময় লাউডস্পিকারে হনুমান চালিসা চালিয়ে দেন নবনির্মান সেনার কর্মীরা। একটি বহুতল আবাসিক ভবনের ছাদেই এই লাউডস্পিকার লাগিয়েছিলেন তাঁরা। এছাড়াও একাধিক যাওয়ায় চলে একই কাজ। এই কাজের জেরে প্রায় ২৫০ জন নবনির্মান সেনা কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
পুনেতে মহা আরতি করার জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছে মহারাষ্ট্র নবনির্মান সেনার সাধারণ সম্পাদক অজয় শিন্ডে সহ আরও ছয়জনকে। মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র দপ্তর সূত্রে খবর, মুম্বাইয়ের ১১৪০ টি মসজিদের। মধ্যে আজ।সকাল ৬টা অবধি লাউডস্পিকার ব্যবহার করা হয়েছে মাত্র ১৩৫টিতেই। সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশ অমান্য করায় এই মসজিদগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
রাজ্য সরকার পুনের কসবা পেঠে পুনেশ্বর হনুমান মন্দিরের বাইরে নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও জোরদার করেছে কারণ এই মন্দিরেই মহা আরতি করার কথা ঘোষণা করেছেন রাজ ঠাকরে। এই বিতর্কের আবহে শহরের শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে মোতায়েন করা হয়েছে ২৫০০ জন পুলিশকর্মী।