বাংলাহান্ট ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বাংলা সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার পাওয়া নিয়ে নিন্দা, সমালোচনার ঝড় বইছে নেটপাড়ায়। সাহিত্যিকরা পুরস্কার ফেরত দিচ্ছেন ক্ষোভে। নিন্দুকদের তীব্র কটাক্ষ করে শিল্পী শুভাপ্রসন্ন (Subhaprasanna) বলেছিলেন, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বেঁচে থাকলে নিজেই মমতাকে পুরস্কার দিতেন।
তাঁর এই মন্তব্য তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি করেছিল। হাসিঠাট্টায় ভরেছিল নেটদুনিয়া। এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শিল্পী সত্ত্বা নিয়ে মুখ খুললেন শুভাপ্রসন্ন। মুখ্যমন্ত্রীর এক একটি ছবি নাকি এ লক্ষ টাকায় বিক্রি হয়, জানালেন শুভাপ্রসন্ন।
টিভি নাইন বাংলার সঙ্গে সাক্ষাৎকারে শিল্পী জানান, নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সময়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রথম পরিচয় হয় তাঁর। নিজে ছবি আঁকেন বলে একটি প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। মমতার বাড়িতে গিয়ে ১৫০ টি ছবির মধ্যে ৪২ টি পছন্দ করে প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করেন শুভাপ্রসন্ন। তার মধ্যে ১১ টি ছবি নাকি এক লক্ষ টাকা করে বিক্রি হয়েছিল।
কী হল সেই অর্থের? শুভাপ্রসন্ন জানান, নন্দীগ্রামের কৃষকদের মধ্যে সমস্ত টাকা বিলিয়ে দিয়েছিলেন মমতা। তখন শুভাপ্রসন্ন নিজেই বলতে বাধ্য হয়েছিলেন, পরের প্রদর্শনীর জন্য অন্তত ২০ শতাংশ টাকা তো রাখতেই পারতেন। কিন্তু শোনেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুভাপ্রসন্ন বলেন, তিনি কিছু কাজ শিখিয়েছিলেন বটে মমতাকে, কিন্তু তাঁর প্রভাব মুখ্যমন্ত্রীর আঁকায় পড়েনি। মমতার আঁকা স্বতঃস্ফূর্ত। নিজের শিল্পের একটা ধরণ তৈরি করেছেন তিনি। পটপট করে ডিজাইন তৈরি করে দেন এখন।
রবীন্দ্রনাথের পুরস্কার দেওয়ার মন্তব্য নিয়েই সাফাই দিয়েছেন শুভাপ্রসন্ন। তাঁর কথায়, “রবীন্দ্রনাথ মধ্যম মানের ব্যক্তি ছিলেন না। তিনি থাকলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উৎসাহিত করতেই পুরস্কার দিতেন। রবীন্দ্রনাথ জানতেন যে তাতে তাঁর খ্যাতি বাড়বে বই কমবে না।”
তিনি আরো বলেন, যাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পুরস্কার দিয়েছেন তাঁদের চাটুকারিতা করার প্রয়োজন নেই। সুবোধ সরকার যদি চাটুকারিতা একটু করেও থাকে, করেছে। কিন্তু এই পুরস্কার দেওয়ার সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই।