বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে সারা বিশ্বে যখন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহ ছড়িয়ে পড়েছে ঠিক সেই সময়েই এমন এক তথ্য সামনে এসেছে যা শুনে কার্যত অবাক হয়ে গিয়েছেন সকলে। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ছোট মেয়ে ক্যাটেরিনা তিখোনোভা নাকি জেলেনস্কির সঙ্গে লুকিয়ে প্রেম করছেন।
এমনকি, তাঁদের বেশ কয়েক বার এক সঙ্গে দেখা গিয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। এমনিতেই পুতিন তাঁর ব্যক্তিগত জীবন কখনও প্রকাশ্যে আনেননি। পাশাপাশি, তাঁর মেয়েদের সম্পর্কেও বিশেষ কিছু জানা যায় না। এমতাবস্থায়, রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের মাঝেই এহেন দাবি ঘিরে কার্যত অবাক হয়েছেন বিশ্ববাসী। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভ্লাদিমির পুতিনের মোট দু’জন কন্যা রয়েছেন। এক জন হলেন মারিয়া ভোরোন্তসোভা। অন্য জন হলেন ক্যাটেরিনা।
যদিও, মারিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু না জানা গেলেও ক্যাটেরিনা কিন্তু জনসমক্ষে থাকতেই বেশি পছন্দ করেন। মূলত, এক জন ব্যালে নৃত্যশিল্পী হিসেবেও পরিচিত তিনি। জানা গিয়েছে, ২০১৩ সালে পুতিনের এক বন্ধুর ছেলে কিরিল সামালোকে বিয়ে করেছিলেন ক্যাটেরিনা। যদিও, ২০১৭ সালেই সেই সম্পর্কে ছেদ ঘটে। তারপরেই ক্যাটেরিনা ফের একবার প্রেমে পড়েছেন বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে।
ঠিক কি ঘটেছে?
জানা গিয়েছে যে, আপাতত জার্মানির এক ব্যালে শিল্পীর সঙ্গে প্রেমের বন্ধনে আবদ্ধ রয়েছেন ক্যাটেরিনা। যদিও, প্রথমে বিষয়টিকে গুজব বলে দাবি করা হলেও সম্প্রতি জার্মানির সংবাদপত্র ডের স্পিগেল এবং রাশিয়ার একটি সংবাদমাধ্যম আইস্টোরিজে দাবি করা হয়েছে যে, ওই প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে মাঝেমধ্যেই জার্মানির মিউনিখে যেতেন ভ্লাদিমির কন্যা ক্যাটেরিনা।
আর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে, ক্যাটেরিনার নতুন এই প্রেমিকের নাম হল ইগর জেলেনস্কি। অর্থাৎ, মিউনিখে ক্যাটেরিনা জেলেনস্কির সাথেই গোপনে সাক্ষাৎ করতে যেতেন। পাশাপাশি, ক্যাটেরিনা এবং জেলেনস্কির দু’বছরের একটি কন্যাসন্তানও রয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে প্রতিবেদনে। জানা গিয়েছে যে, জেলেনস্কিও পেশায় এক জন ব্যালে শিল্পী।
এদিকে, বর্তমানে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে চলা যুদ্ধের সময়ে ক্যাটেরিনার নতুন প্রেমিকের নাম সামনে আসায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায়। এমনকি, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের নামের সঙ্গে ক্যাটেরিনার নতুন প্রেমিকের নাম মিলে যাওয়ায় অনেকেই ভুল ভেবে বসেন। এক কথায়, ক্যাটেরিনার নতুন প্রেমিকের চেয়ে প্রেমিকের নাম নিয়েই কৌতূহল কার্যত চরমে ওঠে।