বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অবশেষে ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত সোমা দাসকে শিক্ষকতার চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করল নবান্ন। এদিন রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে একটি নির্দেশ দিয়ে জানানো হয় যে, আগামী সাত দিনের মধ্যে ওই মহিলাকে চাকরিতে নিয়োগ করতে হবে। সূত্রের খবর, নবম এবং দশম শ্রেণীর বাংলার শিক্ষিকা হিসেবে তাঁকে নিযুক্ত করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। তবে বর্তমানে চাকরি পাওয়ার খবরে খুশি হলেও আন্দোলনের পথ থেকে সরে আসতে নারাজ সোমা।
তিনি এদিন বলেন, “আদালত যখন নির্দেশ দিয়েছে, সেই নির্দেশ অনুযায়ী আমি চাকরি নেব। কিন্তু গান্ধী মূর্তির নীচে আমাদের আন্দোলন শেষ হবে না। মেরিট তালিকার শেষে থাকা প্রার্থী যতক্ষণ না চাকরি পাচ্ছে, ততক্ষন আমাদের এই আন্দোলন চলবে।”
বীরভূমের নলহাটির বাসিন্দা সোমা দাস বহুদিন ধরে ক্যান্সারে আক্রান্ত। কিন্তু তাতে দমে না থেকে 2019 সাল থেকে স্কুল সার্ভিস কমিশন সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় আন্দোলন করে চলেছেন তিনি। পরবর্তীকালে হাইকোর্টে এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁকে শিক্ষিকার পরিবর্তে অন্য কোন সরকারি চাকরি দেওয়ার প্রস্তাব দেন। তবে সেই প্রস্তাবে রাজি হননি সোমা। তাঁর কথায়, “বিচারপতি আমার প্রতি সমব্যথী হয়েছেন এবং সেই জন্য তিনি আমাকে অন্য জায়গায় চাকরিতে দিতে চাইছেন। কিন্তু দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করে আমি শিক্ষক হতে চাই এবং তা পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমি থামবো না।”
পরবর্তীতে আদালত সোমাকে শিক্ষকতার চাকরি দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিলে উঠে পড়ে বসে নবান্ন। এরপর নবান্নের তরফ থেকে জানানো হয়, “মন্ত্রিসভার বৈঠকে সোমা দাসকে চাকরি দেওয়ার ব্যাপারে আমরা আলোচনা করি এবং গত 17 তারিখ তাঁকে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ এসে পৌঁছেছে। আমরা বর্তমানে সেটিকে স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যানকে পাঠিয়ে দিয়েছি।”
ফলে শেষ পর্যন্ত শিক্ষিকা হওয়ার স্বপ্ন সত্যি হলেও আন্দোলন থেকে সরতে নারাজ মহিলা। এদিন তিনি বলেন, “হাইকোর্ট নির্দেশ দেওয়ার কারণে সবকিছু হয়েছে। আমি আদালতকে অবমাননা করবো না, সেই কারণে আমি চাকরি নেব। কিন্তু তাতে আমার আন্দোলন থামবে না। তালিকায় শেষে যে প্রার্থী রয়েছে, তাকে চাকরি না দেওয়া পর্যন্ত আমরা গান্ধী মূর্তির নিচে বসে থাকবো।”
দলের মধ্যেই অভিষেককে কোণঠাসা করছেন কে? সামনে বিস্ফোরক অভিযোগ…