বাংলাহান্ট ডেস্ক : একেই বলে ‘যেমন কর্ম তেমন ফল।’ কুকুরকে নিয়ে স্টেডিয়ামে সান্ধ্য ভ্রমন করা আইএএস (Indian Administrative Service) অফিসারের ট্রান্সফার সোজা লাদাখে (Ladakh)। আর তাঁর স্ত্রীকে পাঠানো হল অরুণাচল প্রদেশ (Arunachal Pradesh)।
সন্ধ্যে নামলেই বন্ধ করতে হত অনুশীলন। অ্যাথলিটদের তড়িঘড়ি খালি করতে হত স্টেডিয়ামও। তখন নাকি এক আইএএস অফিসার তাঁর পোষ্যকে নিয়ে ওই স্টেডিয়ামে হাঁটতে যান! অভিযুক্ত সেই আইএএস অফিসারকে এবার লাদাখে ট্রান্সফার করে দেওয়া হল। রেহাই পেলেন না তাঁর স্ত্রীও। অরুণাচল প্রদেশে বদলি হয়ে গেলেন তিনিও।
ঠিক কী ঘটেছিল? ২০১০ সালে কমনওয়েলথ গেমসের সময়ে দিল্লিতে একটি স্টেডিয়াম তৈরি করা হয়। নাম, থগরাজ স্টেডিয়াম। এই স্টেডিয়ামটি দিল্লি প্রশাসনের অধীনস্ত। কয়েক মাস আগে পর্যন্ত ওই স্টেডিয়ামে নির্বিঘ্নেই অনুশীলন করতেন অ্যাথলিটরা। এমনকী, সন্ধ্যার আলো জ্বালিয়েও চলত অনুশীলন।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর, গত কয়েক মাস ধরেই সন্ধ্যার সাতটার মধ্যেই মাঠ ছেড়ে দিতে বলা হচ্ছে অ্যাথলিটদের। খালি করে দেওয়া হচ্ছে দিল্লির থগরাজ স্টেডিয়াম (Thyagraj Stadium Complex)। কারণ, সন্ধে সাড়ে ৭টা নাগাদ ওই স্টেডিয়ামে হাঁটতে যান খোদ দিল্লির রাজস্ব দফতরের মুখ্যসচিব সঞ্জীব খিরওয়ার (Sanjeev Khirwar)। সঙ্গে আবার তাঁর পোষ্য কুকুর! যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন ওই সিভিল সার্ভেন্ট অফিসার।
এই খবর প্রকাশ্যে আসার সঙ্গে সঙ্গেই শোরগোল পড়ে যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হন ক্রীড়াপ্রেমীরাও। এরপরই দিল্লির উপ মুখ্যমন্ত্রী এই বিষয়ে ট্যুইট করেন। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল নির্দেশ দিয়েছেন, দিল্লি সরকারের অধীনস্থ সমস্ত স্টেডিয়াম রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা রাখতেই হবে।
অবশেষে অভিযুক্ত আইএএস অফিসার সঞ্জীব খিরওয়ার ও স্ত্রী রিঙ্কু দুগ্গার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিল কেন্দ্র সরকার। একজনকে লাদাখ, আর একজনকে বদলি করে দেওয়া হল অরুণাচলপ্রদেশে।
“আরও এক ডিভোর্স….”, যুজবেন্দ্র চাহাল ও ধনশ্রী ভার্মার হতে চলেছে বিচ্ছেদ? জল্পনা উস্কে সামনে এল পোস্ট