বাংলাহান্ট ডেস্ক : “পরের ধনে পোদ্দারির” ঘটনা হামেশাই শোনা যায়, কিন্তু দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাশীপুর গ্রামে যে ঘটনা ঘটেছে তা যেন পরের ঘরে ঘর করার মতো। দুই বৃদ্ধ দম্পতির হাতে ধরা দুটি প্ল্যাকার্ড। তার একটিতে লেখা “বিচার চাই” অন্যটিতে “শাস্তি চাই”। থানার সামনে ঠাঁয় বসে সেই বৃদ্ধ দম্পতি তাদের জন্য সুবিচার চাইছেন। আপাত দৃষ্টিতে দেখলে মনে হতেই পারে তারা হয়তো কোনো অত্যাচারের কিংবা জালিয়াতির শিকার হয়েছেন। কিন্তু ঘটনাটা একটু অন্যরকম।
জানা গিয়েছে, ওই বৃদ্ধ দম্পতির নাম সমীর গঙ্গোপাধ্যায় ও কল্পনা গঙ্গোপাধ্যায়। কাশীপুর গ্রামের দীর্ঘদিনের বাসিন্দা তাঁরা। সেই গ্রামেই তাদের একটি টিনের দোচালা বাড়ি আছে। আজ থাকে প্রায় ৮ বছর আগে সুকুমার মন্ডল ও কাকলী মন্ডল নামে এক দম্পতি তাদের সন্তানের পড়াশুনার সুবিধার কথা বলে সমীর বাবুর বাড়িতে থাকতে চান। সেই মন্ডল দম্পতির ছেলে এখন স্কুল পেরিয়ে কলেজের গণ্ডি ছুঁলেও তারা বাড়ি ছাড়তে নারাজ। তাঁরা প্রায় ৮ বছর ধরে জবরদখল করে রেখেছেন নিঃসন্তান গঙ্গোপাধ্যায় দম্পতির বাড়িটি। এই নিয়ে বহুবার কাশীপুর থানা, ভাঙড় ২ বিডিও অফিস, স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে অভিযোগ করলেও কোনো সমাধান হয়নি বলে জানাচ্ছেন সমীরবাবু। অবশেষে কোনো পথ না পেয়ে তাঁরা থানার সামনে ধর্নায় বসেছেন।
সূত্রের খবর, অভিযুক্ত কাকলী মন্ডল পেশায় অঙ্গনওয়ারী কর্মী। এখন সরকারি চাকুরে হয়েও কিভাবে অন্যের বাড়ি দখল করে রেখেছেন সেই প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই। যদিও এবিষয় প্রশ্ন করা হলেও মুখ খুলতে চাননি সুকুমার ও কাকলী।